বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ইংরেজি নববর্ষ পালনে দেশে দেশে অদ্ভুত যত রীতি

ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:০৫ এএম

শেয়ার করুন:

ইংরেজি নববর্ষ পালনে দেশে দেশে অদ্ভুত যত রীতি

২০২২ সালের বিদায় ঘণ্টা বাজতে চলেছে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে নতুন বছর। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশে দেশে চলছে প্রস্তুতি। নববর্ষ উদযাপনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে নানা আশ্চর্য রীতি। ঐতিহ্যবাহী এই প্রথা ও রীতিগুলো আপনাকে অবাক করবে।

একেক দেশের নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনের ঐতিহ্য একেক রকম। সেসব ঐতিহ্য একেবারেই তাদের নিজস্ব। অনেক দেশই নববর্ষ পালনের নিজেদের ঐতিহ্যবাহী প্রথার জন্য বিখ্যাত। যেমন-কিছু দেশ আছে যেখানে নতুন বছরে একে অপরকে এক ডজন আঙ্গুর খাওয়ান। কিছু জায়গায় আবার নতুন বছরের শুরুতে এক বিশেষ ধরনের অন্তর্বাস পরতে হয়। তাদের বিশ্বাস, এই ধরনের অন্তর্বাস সৌভাগ্য নিয়ে আসে। 


বিজ্ঞাপন


​স্পেন

নববর্ষের আগের দিন মধ্যরাতে স্পেনে এক ডজন আঙ্গুর খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে প্রতিটি আঙুর আসন্ন বছরের নির্দিষ্ট মাসের সৌভাগ্যের সঙ্গে যুক্ত। মাদ্রিদ, বার্সেলোনার মতো কিছু বড় শহরে লোকেরা এলাকার প্রধান চত্বরে জড়ো হন এবং একসঙ্গে আঙ্গুর খান।

​ডেনমার্ক

ডেনমার্কে প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের দরজায় পুরোনো প্লেট এবং গ্লাস নিক্ষেপ করে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়। ডেনমার্কের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, দরজার সামনে যত ভাঙা প্লেট, গ্লাস জড়ো হয় পরিবারের জন্য নতুন বছরে ততই শুভ হবে। 


বিজ্ঞাপন


শুধু তাই নয়, দেশটির মানুষ থার্টি ফাস্ট নাইটে চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে সেগুলোর উপর লাফিয়ে পড়েন। তাদের বিশ্বাস, এরকম করলে তাঁদের জীবনে সৌভাগ্য আসবে।

​ব্রাজিল

ব্রাজিলের নববর্ষ উদযাপনের প্রথাও বেশ ভিন্ন। সেখানকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস নববর্ষের প্রথম দিন নতুন অন্তর্বাস পরলে বছরের আগামী দিনগুলোতে সৌভাগ্য বিরাজ করে। এই সময় তারা লাল রঙের অন্তর্বাস পরেন। তাদের বিশ্বাস লাল রঙের অন্তর্বাস পরলে জীবনে প্রেম আসে। হলুদ রঙের অন্তর্বাস পরলে অর্থ লাভ হয়।

তুরস্ক

৩১ ডিসেম্বর রাত ১২ টার ঘণ্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তুরস্কের লোকেরা তাদের দরজায় লবণ ছিটিয়ে দেন। এরকম করলে সারা বছর ধরে জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি থাকে বলে তাদের বিশ্বাস।

কলম্বিয়া

নতুন বছর উপলক্ষে কলম্বিয়াতে এক অনন্য ঐতিহ্য পালিত হয়। এই ঐতিহ্যের পোশাকী নাম আগুয়েরো। এই প্রথা অনুযায়ী, পরিবারের প্রতিটি সদস্যের খাটের নিচে তিনটি আলু রাখা হয়। একটি আলুর খোসা ছাড়ানো থাকে, দ্বিতীয় আলুটি খোসাসহ থাকে এবং তৃতীয় আলুটি থাকে অর্ধেক খোসা ছাড়ানো। রাতে, প্রত্যেক ব্যক্তিচোখ বন্ধ করে সেই আলু বের করেন। যার হাতে যে আলুটি আসে সেই অনুযায়ী তার বছরের ভবিষ্যৎবাণী হয়। ভবিষ্যত ব্যক্তির ভাগ্যে আর্থিক সংগ্রাম কেমন হবে তা নাকি নির্ধারণ করে সেই আলুগুলো।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর