জাপানের ওসাকা শহরের ইকুনো কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও এবং বাংলাদেশ স্টুডেন্টস সাপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন ইন জাপান (বিএসএসএজে)-এর যৌথ আয়োজনে সেমিনার অনুষ্টিত হয়েছে। সেমিনারটির বিষয় ছিল, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড পটেনশিয়াল অব জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট: বিঙ্গিং স্টুডেন্টস ফ্রম বাংলাদেশ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএসএসএজে সভাপতি নাগামাতসু ফারুক। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী। অনুষ্ঠানে ওসাকা-কানসাই অঞ্চলের স্বনামধন্য প্রায় ৩৫টি জাপানি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বাসসাজ-এর সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানের ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারে দক্ষ বিদেশি জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের তরুণরা তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন পেশাগত দক্ষতায় এগিয়ে রয়েছে। তাদের জাপানি ভাষায় দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব, যা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
তিনি আরও বলেন, জাপানি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ যদি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উদার নীতি গ্রহণ করে, তবে পারস্পরিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ড. আশির আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি জাপানে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা, অবদান এবং ভাষাশিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. মফিজ উদ্দিন খান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. হোসেন, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. রাজু চৌধুরী, নুরুল ইসলাম রাফি সহ বিএসএসএজে-এর অন্যান্য সক্রিয় সদস্যবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএসএসএজে-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন।
সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্ব, সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম প্রদর্শন, প্রচারপত্র বিতরণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই আয়োজন জাপানি ভাষা শিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতে আরও সুযোগ উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকেরা আশা করেন।
এজেড

