প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো বা ডিপোর্ট করার বদলে আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় পাঠানোর কথা ভবাছে নেদারল্যান্ডস৷ ১৬ অক্টোবর দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী টেলিভিশন চ্যানেল এনওএস-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন৷ খবর ইনফো মাইগ্রেন্টসের।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা সফর নিয়ে আলাপকালে নেদারল্যান্ডসের মন্ত্রী রাইনাটে ক্লেভার বলেন, পরিকল্পনাটি আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে করা হচ্ছে৷ যেসব আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং নেদারল্যান্ডসে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না, তাদেরকেই উগান্ডা পাঠানো হবে৷
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের অভ্যর্থনা শিবিরে স্থান দেবে উগান্ডা এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেয়া হবে৷
অতি ডানপন্থি পার্টি ফর ফ্রিডম (পিভিভি)-এর সদস্য ক্লেভার বলেন, ‘উগান্ডা একটি অতিথিপরায়ণ দেশ যার সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে৷’
নেদারল্যান্ডসের জোট সরকারের অংশীদার পিভিভি৷ দেশটিতে অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর আইন করার পাশাপাশি শরণার্থীর সংখ্যাও সীমিত করতে চায় দলটি৷
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: প্যারিসে অভিবাসীরা যেখানে বিনামূল্যে খাবার খেতে পারেন
পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই আশ্রয় আইন কঠোর করার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করারও পরিকল্পনা করেছিল দলটি৷ তবে জোট সরকারের অন্য অংশীদার ও বিরোধী দলগুলো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷
পিভিভি-এর অতি ডানপন্থি নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্স মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘কম আশ্রয়প্রার্থী, বড় নেদারল্যান্ডস৷’
জরুরি অবস্থা নিয়ে আপত্তি থাকলেও উগান্ডা নীতি নিয়ে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে জোট সরকারের অন্য শরিকেরাও৷ বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ক্লেভারকে সমর্থন দিয়েছেন তারা৷ তবে, সরকারের নতুন এই পরিকল্পনাকে ‘সস্তা প্রচার’ এবং ‘প্রতীকী রাজনীতি’ বলে নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলো৷
ডেমোক্র্যাটস ৬৬ পার্টির নেতা রব ইয়েটেন এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘ডেনমার্ক এবং যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই এমন চেষ্টা করেছে৷’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয়নীতি থেকে বের হতে চায় নেদারল্যান্ডস
আফ্রিকান দেশগুলোতে অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় ডেনমার্ক এবং ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো লিখেছেন, ‘ফলাফল কী? কেউ আফ্রিকা যায়নি৷’
তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস
এজেড
