সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইতালিতে কৃষিখাতে অভিবাসীরা ‘দাসপ্রথা’র শিকার

অভিবাসন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪৫ এএম

শেয়ার করুন:

italy

ইটালির ভেরোনার কাছের গ্রামাঞ্চলে ৩৩ জন ভারতীয় ‘দাসপ্রথা’-র শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইটালির পুলিশ।

ভারতীয় কৃষিশ্রমিকদের একটি গোষ্ঠীকে বিনা বেতনে এবং অমানবিক পরিস্থিতিতে দিনে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: পর্তুগালে কাজের আশায় বাড়ছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভিড় 

অভিযুক্ত দুই ‘গ্যাংমাস্টার’ শ্রমিকদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ওই শ্রমিকদের বাসস্থান ছেড়ে যেতে দেয়া হয়নি, তাদের শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

italy

মানসিক হেনস্থা, বেআইনি শ্রমের অভিযোগ ছাড়াও ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের নানাভাবে শোষণের অভিযোগ রয়েছে। মামলার তদন্তকারী বিচারকদের মাধ্য়মে অভিযুক্তদের ‘প্রাক-ট্রায়াল’ আটকের অনুরোধ করা হয়। নইলে অভিযুক্তরা প্রমাণ নষ্ট করতে পারে এমন গুরুতর ঝুঁকির কারণে প্রাথমিক তদন্তের বিচারক অভিযুক্তদের আটক করার বিষয়টি মঞ্জুর করেছিলেন।


বিজ্ঞাপন


'বেতনহীন' শ্রম

দুই অভিযুক্তের নামের সঙ্গে আগে থেকে ফিন্যান্স পুলিশের পরিচয় ছিল। এক মাস আগে কর ফাঁকির আরেকটি তদন্তে তাদের নাম উঠে আসে।

জুলাই মাসে অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের থেকে চার লাখ ৭৫ হাজার ইউরো জব্দ করে পুলিশ। তদন্তকারীরা দেখেন, ওই ব্যক্তিরা দুইটি খামারের মালিক কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে তাদের কোনো কর্মী নেই।

তদন্তে জানা গিয়েছে, ৩৩ জন শ্রমিককে ইটালিতে প্রবেশের অনুমতি এবং একটি মৌসুমি চাকরির অনুমতির বিনিময়ে ১৭ হাজার ইউরো দিতে বলা হয়েছিল।

itali

প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুসারে, শ্রমিকদের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে এই ‘গ্যাংমাস্টার বা চক্রের’ কাছে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। 

তদন্তকারীরা জানান, ইটালিতে পৌঁছানোর পর, সপ্তাহে সাত দিন, রোজ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিনামূল্যে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল এই শ্রমিকদের। প্রতি ঘণ্টায় চার ইউরো বেতনও এই ‘গ্যাং’ রেখে দিতো, যাতে শ্রমিকেরা নিজেদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। 

কিছু ক্ষেত্রে এমনকি অর্থ ফেরত দেওয়ার পরেও, গ্যাংমাস্টাররা স্থায়ী কাজের অনুমতি দেয়ার জন্য ভারতীয় শ্রমিকদের থেকে ১৩ হাজার ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা) পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর