সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ঢাকা

সমুদ্র সৈকতে ঝিনুক-পাথর কুড়ালেই যেতে হবে জেলে

অভিবাসন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৭ এএম

শেয়ার করুন:

island

সমুদ্রের পাড়ে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই স্রোতে সৈকতে ভেসে আসা ঝিনুক কিংবা পাথর কুড়ান। এগুলো নিজেদের সংগ্রহেও রাখেন। কিন্তু এই কারণে আপনার হতে পারে জেল জরিমানাও। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্যি। আপনি যদি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের ল্যাঞ্জারোটে এবং ফুয়ের্তেভেন্তুরা সৈকতে ঝিনুক ও পাথর কুড়ান তবে জেলের ভাত খেতে হবে আপনার। 

বিশ্বজুড়ে বহু সুন্দর সমুদ্র সৈকত রয়েছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক এই সব স্থানে ভ্রমণ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেই স্থানের স্মৃতি হিসেবে ঝিনুক, প্রবাল, শঙ্খ, বালি কিংবা নুড়ি পাথর সঙ্গে নিয়ে যান। কিন্তু কেউ যদি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের ল্যাঞ্জারোটে এবং ফুয়ের্তেভেন্তুরাতে বেড়াতে গিয়ে এমনটা করেন তাহলে সমস্যা। এখানকার নিয়ম বেশ কড়া। এখানে সামান্য বালি-পাথরও যদি নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে গিয়ে ধরা পড়লে মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হবে। এমনকি জেলেও যাওয়া লাগতে পারে।


বিজ্ঞাপন


stone

বালি ও পাথর বহনে নিষেধাজ্ঞা

বার্মিংহাম লাইভ অনুসারে, এখানকার সমুদ্র সৈকত থেকে বয়ামে করে পাথর বা বালি সংগ্রহ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কেউ যদি তা করেন তবে তাকে ৩০০০ ইউরো জরিমানা দিতে হতে পারে। ক্যানারিয়ান উইকলি অনুসারে, ল্যাঞ্জারোটে প্রতি বছর তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ হারাচ্ছে। একই অবস্থা ফুয়ের্তেভেন্তুরাতেও বিদ্যমান। বিশেষ করে উত্তরে কোরালেজোর কাছে পপকর্ন বিচে ভ্রমণকারীদের মধ্যে পাথর তুলে নেওয়ার প্রবণতা এতটাই বেশি হয়ে গেছে যে তার ভয়ানক প্রভাব পড়ছে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রে।

বিমানবন্দরে জরিমানাও নেওয়া হয়


বিজ্ঞাপন


ল্যাঞ্জারোটে এবং ফুয়ের্তেভেন্তুরা বিমানবন্দরের কর্মকর্তারাও এই ব্যাপারে অত্যন্ত কড়া। বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে এই ধরনের জিনিস বাজেয়াপ্ত করেন এবং জরিমানাও করেন। অনেকেই অবশ্য অন্য সমুদ্র সৈকত থেকে তোলা হয়েছে বলে মিথ্যে কথা বলে থাকেন। যদিও পপকর্ন বালি শনাক্ত করা খুবই সহজ। তাই বিমানবন্দরে যদি কোনও যাত্রীর কাছে এইসব পেলে সেখানেও ৩০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ছোটো অপরাধের জন্য অবশ্য ১৫০ ইউরো থেকে ৬০০ ইউরোর মতো জরিমানা দিতে হয়। এই জরিমানার পরিমাণ নির্ভর করে যাত্রী কতটা পরিমাণ বালি চুরি করেছেন তার ওপর।

stone-pic

পরিবেশের উপর প্রভাব

স্থানীয়দের অভিযোগ এভাবে বালি-পাথর তুলে নিয়ে গেলে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে চলেছে। এই ক্ষতি রুখতে এই পর্যটনস্থলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে টেনেরিফ আইল্যান্ড ওয়াটার কাউন্সিল। ফলে সরকারি প্রতিনিধিরাও পানির অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমানোর দিকে নজর দিয়েছেন। গত বছরের দাবানলের পর থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উষ্ণতা অনেকটা বেড়ে গেছে। ১৯৬১ সালের পর চলতি বছর ছিল দ্বীপপুঞ্জের উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি মাস। আর এইসবের জন্য পর্যটকদেরকেই দায়ি করেন সেখানকার মানুষ।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর