সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভ্রমণ

বিনাখরচে নেপালের ই-ভিসা পাওয়ার উপায়

অভিবাসন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫২ এএম

শেয়ার করুন:

বিনাখরচে নেপালের ই-ভিসা পাওয়ার উপায়

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক নেপাল ভ্রমণে যান। তাদের ভ্রমণ আরও বেশি সহজ ও উপভোগ্য করতে বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য সুখবর দিল নেপালে অবস্থিত ঢাকার দূতাবাস।

নেপালে ঘুরতে যাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য থাকেছে বিনামূল্যে ই-ভিসার ব্যবস্থা। আবেদনের একদিনের মধ্যেই মিলবে এই ভিসা।


বিজ্ঞাপন


নেপালে বাংলাদেশিদের জন্য বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা আছে। এই জন্য পর্যটকদের আবেদন করতে হয় নেপাল দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে। সেখান গিয়ে অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য একটি আবেদন করতে হয়।

সাধারণত একদিনের মধ্যেই এই ভিসা পাওয়া যায়। এবার সেখানে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য এই ভিসার ব্যবস্থা আরও সহজ করা হচ্ছে। জানানো হয়েছে, বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ইলেকক্ট্রনিক ট্র্যাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) সিস্টেম চালু করেছে নেপাল।

visa

নেপালের ঢাকার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে রবিবার এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, নেপাল বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদনকারী সব ব্যক্তির জন্য ভিসা স্টিকার বা হাতে লেখা ভিসা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাদেরকে আর হাতে লেখা ভিসা দেওয়া হবে না। রবিবার থে‌কে দূতাবাস অনলাইনে নতুন ইটিএ জারি করতে শুরু করেছে।


বিজ্ঞাপন


তবে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য পূর্বশর্ত, প্রয়োজনীয় নথি বা কাগজপত্র জমা দেওয়ার পদ্ধ‌তি অপরিবর্তিত রয়েছে ব‌লেও জানানো হয়েছে দূতাবাসের তরফে। এই ভিসার জন্য আবেদন করার সময়ে দিতে হবে পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট। 

নেপাল এবং চিনের সীমান্ত জুড়ে যে অঞ্চল সেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতের ৮টিই অবস্থিত। তবে সেখানে যারা বেড়াতে যান তাঁদের তালিকায় থাকে কাঠমান্ডু, পোখরা এবং নাগরকোট। প্রতি বছর ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটকেরা নেপাল ঘুরতে আসেন হিমালয় দেখতে ও ট্রেকিং করতে। এছাড়া সেখানের মন্দির ও বুদ্ধস্তুপগুলিও নেপালের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম।

কাঠমান্ডুতে ২ দিন, পোখারাতে ২ দিন, নাগরকোটে ২ দিন এবং চিতওয়ান পার্কে সাফারির জন্যে ১ দিন , মোট ৭ দিন হাতে রেখে নেপাল যাওয়া উচিত। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু বিখ্যাত মন্দির, মঠ এবং বুদ্ধস্তুপের জন্য। সমগ্র নেপালের মধ্যে শুধু কাঠমান্ডুতেই আছে ৫টি 'বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান'।

সেখানের দরবার স্কয়ার, বৌধনাথ স্তুপ, পশুপতিনাথ মন্দির এবং স্বয়ম্ভূনাথ দেখার জন্যই মূলত আসনে পর্যটকরা। কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে পোখরা। আর, নগরকোট থেকেই একসঙ্গে দেখা যায় হিমালয়ের ৮টি রেঞ্জ। যার মধ্যে আছে এভারেস্টও।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর