উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ছাড়াও শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সেই সঙ্গে খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত লবণ বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস, ২০২৩ উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই পরামর্শ দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। এর কারণে নানা জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৫০ শতাংশ মানুষ তাদের রোগ সম্পর্কে জানেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাকি ৫০ শতাংশ নিজের এই রোগ সম্পর্কে জানেন না। খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত লবণ বাদ দিতে হবে। ধূমপান বন্ধ, স্ট্রেস বন্ধ, মোবাইল চালানো সীমিত করতে হবে। মোবাইল বেশি ব্যবহার করার ফলে মানুষ অলস হয়ে পড়ছে, সামাজিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এতে করে মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগ স্বাস্থ্যখাতে বাস্তবায়িত হওয়ায় দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে জানিয়ে এটি শতবর্ষে উন্নীত হওয়ার প্রত্যাশা করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বে ১৫০ কোটি মানুষ এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি লোক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। রক্তচাপ আক্রান্ত ১৪ শতাংশ মানুষ তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। দেশে প্রতি ৫ জনে ১ জন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। যা মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ। কিডনি, লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়া, অন্ধ হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ নানা ধরণের অসুখের কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাই সচেতনতার অংশ হিসেবে মাসে অন্তত দুইবার রক্তচাপ মাপতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগ আয়োজিত ওই শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে শোভাযাত্রায় অংশ নেন কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুর রহমান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন, সহকারী প্রক্টর ডা. ফাতিমা জহুরা প্রমুখ।
এমএইচ/আইএইচ
