মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চট্টগ্রামে হচ্ছে ১৫০ শয্যার বার্ন ইনস্টিটিউট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৪ এএম

শেয়ার করুন:

চট্টগ্রামে হচ্ছে ১৫০ শয্যার বার্ন ইনস্টিটিউট

রাজধানী ঢাকার পর দেশের সর্ববৃহৎ শহর চট্টগ্রাম। দেশের বাণিজ্যিক এ রাজধানীতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এ অবস্থা রোগীদের ঢাকামুখী স্রোত আটকাতে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা নিশ্চিতে চট্টগ্রামে বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। 

এ লক্ষ্যে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। 


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ)  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীন সরকারের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপন বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়ন চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষরিত বাস্তবায়ন চুক্তির আওতায় চীন সরকাররে সম্পূর্ণ অনুদান সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ শয্যাবিশিষ্টি একটি বার্ন  ইনস্টিটিউট স্থাপিত হবে। এই ইনস্টিটিউটের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরণের মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র চীন সরকার অনুদান সহায়তা হিসেবে প্রদান করবে। এতে একটি বহির্বিভাগ, একটি অন্তঃবিভাগ, একটি জরুরি বিভাগ, ১০টি আইসিইউ বেড, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক ১০টি করে এইচডিইউ বেড এবং শিশুদের জন্য ৫টি এইচডিইউ বেড থাকবে। 

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও আগুনজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটে চলেছে। এজন্য চট্টগ্রামে ঢাকার মানের একটি বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন ছিল। ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের ৫০০ বেড বেশিরভাগ সময় পূর্ণ থাকে। একমাত্র বার্ন ইনস্টিটিউট হওয়ার কারণে ঢাকার ওপর যে চাপ পড়ছে তা চট্টগ্রামে চালু হলে কিছুটা কমে যাবে। এর পাশাপাশি শিগগিরই আমরা আরও নতুন করে ৫ বিভাগে ৫টি বার্ন ইনস্টিটিউট নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছি। এতে করে দেশে ৭টি উন্নত মানের বার্ন ইনস্টিটিউট হয়ে যাবে।


বিজ্ঞাপন


এসময় চট্টগ্রামের কাজটি সম্পন্ন করতে দুই বছরের মতো সময় লাগবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

চুক্তি স্বাক্ষরকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক  ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়া চীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান দেং বোকিং, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চীনের একটি এক্সপার্ট টিম দেশটির সরকাররে পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/এমএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর