শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘করোনাকালে টাকা নয়, মানুষের জীবনের কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘করোনাকালে টাকা নয়, মানুষের জীবনের কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী’

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় মূল কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিতে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সময় টাকার কথা না ভেবে মানুষের জীবনের কথা ভেবেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের ওয়েসিস মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিশ্বের রোল মডেল হওয়াটা কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে হয়নি। এই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে। মহামারি মোকাবিলা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার ফসল। এটি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাকার চিন্তা করেননি, তিনি মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে কাজ করেছেন।

করোনা মোকাবিলায় সফলতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় সাফল্য গোটা জাতির জন্যই একটি বিশেষ অর্জন ও সফলতা। এই সফলতায় সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সরাসরি সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা ও কর্মপরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রী নিজে সার্বিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে এই মহামারিতে সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা কেবল তার নির্দেশনা মেনে কাজগুলো করে গেছি। আমরা স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন যা কিছু চেয়েছি তিনি আমাদের সেগুলো দিতে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেননি। প্রধানমন্ত্রী টাকার চিন্তা করেননি, তিনি মানুষের জীবনের চিন্তা আগে করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঠিকভাবে কাজ করায় আমরা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছি। আজ আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হলো এটি আমি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) গোটা চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে গ্রহণ করে সম্মানিত বোধ করছি।

এ সময় এই সংবর্ধনার মাধ্যমে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যখাতকে যেভাবে সম্মান দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।


বিজ্ঞাপন


jahid2

করোনাকালে বেসরকারি স্বাস্থ্যখাত একযোগে কাজ করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় দেশে বিদেশে সব মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। শুরুতে মানুষ কোনো এলাকায় হাসপাতাল করতে দিতেন না। মানুষ করোনার ভয়ে সে সময় করোনা হাসপাতাল করার বিপক্ষে আন্দোলন পর্যন্ত করেছেন। সে সময় দেশের বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা বেসরকারি খাতকে বলেছিলাম করোনার জন্য হাসপাতাল ডেডিকেটেড করতে তারা সেটি মেনে নিয়েছে, বেড বাড়াতে বললে তারা বৃদ্ধি করেছে। তাদের যখন যা বলেছি তারা তাই করেছে। এসব কারণে করোনা মোকাবিলায় আমাদের কাজগুলো আরও সহজ হয়েছে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দেশে পাঁচ হাজারের অধিক বেসরকারি হাসপাতাল প্রায় ৬২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা মহামারিকালে নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মানবিক কর্মপ্রয়াস পরিচালনা করার স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সেবাদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তির মর্যাদা প্রদান করেন এবং কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে মানবিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় প্রাইভেট মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি এম এম মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর