চাকরি পুনর্বহাল ও বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মীরা। তাদের দাবি ১২ মাসের বেতন বকেয়া রেখে কর্তৃপক্ষ কোনো নোটিশ ছাড়াই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) সকাল থেকে হাসপাতাল গেইট ও পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে তারা। এ সময় চাকরিতে পুনর্বহাল ও বেতনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও ব্যানার-প্লে কার্ড প্রদর্শন করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনকারীরা বলেন, করোনার সময় যখন কেউ এগিয়ে আসেনি তখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সেবা দিতে এসেছি। আমরা যখন হাসপাতালে এসেছি তখন এটি লঙোরখানার মতো অবস্থা ছিল। এই হাসতাপাতলের বেড, মেশিন আমরা নিজেদের মাথায় করে সাজিয়েছি। নিজেরা পরিস্কার-পরিছন্ন করে হাসপাতালকে ব্যবহারের উপযোগী করেছি। আর এতদিন পর আমাদেরকেই হাসপাতাল থেকে বের করে দিচ্ছে।
‘আমাদের ১২ মাসের বেতন বাকি, এই অবস্থায় একদিনের নোটিসে আমাদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ২০২ জনের চাকরি বাতিল করে কর্তৃপক্ষ তাদের আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের নিয়োগ দিয়েছে। তারা কাজ করছে, নিয়মিত বেতন পাচ্ছে। আর আমরা চাকরি হারিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছি,’ যোগ করেন তারা।
পরবর্তী কর্মসূচির ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের বলা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এডিজি আসছেন। তিনি আমাদের একটা সমাধান দেবেন। যদি এখান থেকেও কোনো আশ্বাস না আসে তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
দাবি দাওয়ার বিষয়ে নজরুল ইসলাম নামে এক আউটসোর্সিং কর্মী ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা আড়াই বছরের বেশি সময় হাসপাতালটিতে কাজ করছি। করোনা মহামারির শুরুতে আমাদের ২০২ জনকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। তিনমাসের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলেও পরে ধাপে ধাপে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নিয়োগের পর থেকে কখনই নিয়মিত বেতন পাইনি আমরা। সর্বশেষ গত ১২ মাস যাবত আমরা কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ফলে পরিবার নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি৷ হাসপাতালের শুরু থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অথচ এখন আমাদের বাদ দিয়ে নতুন ১৫৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চাকরিতে পুনর্বহাল ও বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাখালীতে হাসপাতালটির সমনের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ৪৫ মিনিট পর রাস্তা থেকে সরে যায় তারা।
এমএইচ/এএস

