বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দুই দিন পর আজও বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫২ এএম

শেয়ার করুন:

দুই দিন পর আজও বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা 

দুই দিন পর বায়ুদূষণের শীর্ষে আবার উঠে এসেছে ঢাকার নাম। বায়ুদূষণের কারণে দূষিত শহরের তালিকায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রথম স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। 

এর আগে গত সোমবার শীর্ষ অবস্থানে ছিল ঢাকা। ঢাকার মানুষ যেন নির্মল বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে শরহটি। বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হলেও, সাধারণত শীতকালেই বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে ঢাকার বাতাসের গুণমান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৪ দিনই ঢাকার বাতাস ছিল বিপজ্জনক, যা ফেব্রুয়ারিতেও চলমান। 


বিজ্ঞাপন


নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি— বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এই তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ছিল ২৩৯। বায়ুর মান বিচারে ২০১ থেকে ৩০০ মধ্যে এই পরিস্থিতি খুবই অস্বাস্থ্যকর। ঢাকার এই তালিকায় পরই দূষিত শহরের তালিকায় আছে পাকিস্তানের লাহোর (১৯১)।

air pollution


বিজ্ঞাপন


একিউআই স্কোরে সকালে বায়ুর মানের নিরিখে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল পোলান্ডের ক্রাকো শহর (১৮৩)। চতুর্থ স্থানে আছে ভারতের মুম্বাই (১৮০)।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

গত বছরের শেষ দিকে বিশ্ব ব্যাংক এক প্রতিবেদনে বলছে, বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫) এক শতাংশ বাড়লে তা মানুষের বিষণ্নতার সম্ভাব্য ঝুঁকি ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার যেসব এলাকায় অনেক বেশি নির্মাণ কাজ ও যানবাহন চলাচল করে, সেখানে বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি। আর ঢাকার আশপাশে ইটভাটা-সংলগ্ন এলাকায় তা গড়ে ১৩৬ শতাংশ বেশি। দেশে বায়ু দূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং জিডিপির ৩ দশমিক ৯ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে বলেও জানায় বিশ্ব ব্যাংক।

ডব্লিউএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর