লিভার ট্রান্সপ্লান্ট শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বগুড়ার মন্তেজার 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) লিভার ট্রান্সপ্লান্টের রোগী মো. মন্তেজার রহমান (৫৩) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তার ছোট বোন মোসা. শামীমা আক্তার (৪৩) নিজের লিভারের ৬০ শতাংশ তাকে দান করেন। 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ এই তথ্য জানায়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ছোট বোন মোসা. শামীমা আক্তারের দেওয়া লিভার নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান। 

বগুড়ার বাসিন্দা মন্তেজার রহমান লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের রোগী ছিলেন। তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘অ্যান্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন। মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তার বোন মোসা. শামীমা আক্তার। গত ১ জানুয়ারি তাদের লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সফল অস্ত্রোপচার করে বিএসএমএমইউর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। ১২ ঘণ্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অস্ত্রোপচারে সহযোগিতা করে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।

অস্ত্রোপচার সংশ্লিষ্টরা জানান,  শামীমা আক্তারের দেহ থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। আর মন্তেজারের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করা হয় এবং শামীমার দেহ থেকে কেটে নেওয়া সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ জোড়া দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, লিভার দাতা শামীমা আক্তারের লিভারটি ধীরে ধীরে রি-জেনারেট করবে। এটি লিভার নামক অঙ্গটির একটি বিশেষত্ব। এর আগে গত মাসেই লিভার দাতা শামীমা আক্তারকে বাড়িতে পাঠানো হয়।

হাসপাতাল থেকে ছাড়াপত্র পাওয়া উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের চতুর্থ তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের’ অংশ হিসেবে সম্পন্ন করা লিভার ট্রান্সপ্লান্টের রোগী মো. মন্তেজার রহমান সুস্থ হওয়ায় তার হাতে ফুল দিয়ে বিদায় জানান।