বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

নিপাহ ভাইরাস: আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:০৪ এএম

শেয়ার করুন:

নিপাহ ভাইরাস: আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু

দেশে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে বাদুরবাহিত নিপাহ ভাইরাস। এ বছরে এখন পর্যন্ত ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জনই মারা গেছেন। যা গত আট বছরে তথ্য বিবেচনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানে হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন জানান, সারাদেশে নিপাহ ভাইরাসের সার্ভিলেন্সের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। যেখানেই নতুন কেস পাওয়া যাচ্ছে, সেটা আপডেট করা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হচ্ছে।

এ ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিতদের জন্য এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই। আক্রান্ত হওয়ার পর যদি কেউ বেঁচেও যান, তবুও তার শরীরে নানান ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া বন্ধ করা।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে খেঁজুরের রস সংগ্রহ করার কথা বলছেন। তবে এটি কিন্তু ভুল কথা। কারণ বাদুড়ের মুখ দিয়েই শুধু নয়, এর ইউরিন থেকেও নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে থাকে। অনেকে জাল দিয়ে ঢেকে রাখেন, যাতে বাদুড় মুখ না দিতে পারে। কিন্তু ইউরিন তো আর তাতে আটকাচ্ছে না। তাই খেজুরের কাঁচা রস পানে আক্রান্তের আশঙ্কা সব সময়ই থেকে যাচ্ছে।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে মোট ২৮টি জেলায় ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। এক নির্দেশনায় নিপাহ ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০ বেড আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেড আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।


বিজ্ঞাপন


এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ। এ অবস্থায় কাঁচা রস এবং পাখি খাওয়া ফল খাওয়ার বিষয়ে সকলকে সতর্ক করেন তিনি। 

এ অবস্থায় এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর