শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশকে তামাকমুক্ত করার বিকল্প নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশকে তামাকমুক্ত করার বিকল্প নেই’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশকে তামাকমুক্ত করার বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য। এ লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে তামাকবিরোধী আইনটি সংশোধনের বিষয়ে নীতি-নির্ধারকরা বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


বক্তারা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তার ধারাবাহিকতাতেই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। জনগণের দিক থেকে এই খসড়া বিষয়ে যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব আইনটি সংশোধনের বিষয়ে নীতি-নির্ধারকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই তামাকমুক্ত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সুস্থ, সবল তরুণ জনগোষ্ঠীর এখানে তামাকের কোনো স্থান থাকতে পারে না। প্রত্যেকটি মানুষকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার কোনো বিকল্প নেই।’

সংসদ সদস্য ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, আইনের পাশাপাশি ব্যাপক গণসচেতনতা ও মোটিভেশন দিয়ে তামাকের বহুল ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে সবধরনের নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

অপর সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেত্রী শামসুন নাহার বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের বড় অংশ ধূমপান করে থাকেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা হলে শ্রমজীবী মানুষেরা তামাক ছাড়তে উদ্ধুব্ধ হবেন। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও হবে।


বিজ্ঞাপন


tamak2

মতবিনিময় সভায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি- অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সংশোধনীটির মাধ্যমে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে, কারণ- এর মাধ্যমে মূলত যারা ধূমপান করছেন না তাদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেওয়া এবং কিশোর-তরুণদের ধূমপান শুরু করা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।’

এছাড়াও স্বার্থন্বেষী মহল এই সংশোধনীর ফলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে- এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জনস্বাস্থ্যের ওপর যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে তার সুফল পাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি।

সভার উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করার আহ্বান জানানো হয়। যেহেতু প্রতিদিন তামাকের কারণে এ দেশে প্রায় ৪৫০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন, তাই এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত কাম্য বলে জানান তারা।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর