শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সারার কর্নিয়ায় চোখে আলো পেলেন দুই রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৫ এএম

শেয়ার করুন:

সারার কর্নিয়ায় চোখে আলো পেলেন দুই রোগী

সারা ইসলামের দান করা কর্নিয়ায় চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন দুই রোগী। অস্ত্রোপচারের পর তারা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। কর্নিয়া পাওয়া রোগীরা হলেন— শিক্ষিকা ফেরদৌস আখতার (৫৬) ও মোহাম্মদ সুজনের (২৩)।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের ৭ম তলা চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগে চক্ষু পরীক্ষা শেষে তাদের ছাড়পত্র দেনে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ। 


বিজ্ঞাপন


এসময় বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সারা ইসলামের দুটি কিডনি অন্য দুজন রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে তার দুটি কর্নিয়া দুইজনের চোখে বসানো হয়েছে। তার অঙ্গদানের মাধ্যমে চারজন মানুষ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। এটি দেশের চিকিৎসাসেবায় মাইলফলক।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেরদৌসী আখতার ২০১৬ সালে এক অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তার ডান চোখে সমস্যা দেখা দেয়। তিনি কিছুই দেখতে পেতেন না। স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকে চোখ দেখালেও সমাধান মেলেনি। পরে বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমানের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। সাত বছর আগে কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক। তবে কর্নিয়া সংকটে এটি এতদিন তা সম্ভব হয়নি। 

জানা গেছে, কর্ণিয়া জোগাড় করতে আগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রেখেছিলেন এ শিক্ষিকা। সারার কর্ণিয়া দানের সম্মতি পেয়েই চিকিৎসক শীষ রহমান তাকে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলেন। এরপর তার ডান চোখে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করা হয় । ডান চোখে এখন স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাচ্ছেন ওই শিক্ষিকা।

এদিকে, মোহাম্মদ সুজনের চোখের অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাশ। মোহাম্মদ সুজন এখন ভালো আছেন।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০ বছরের তরুণী ফাইন আর্টসের মেধাবী শিক্ষার্থী সারা ইসলাম। তিনি তার অঙ্গদান করে যান। গত ১৯ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে সারা ইসলাম ব্রেন ডেথ হবার পরপরই তার দুই কিডনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডাভেরিক সেলের আহ্বায়ক ও রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশনের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে বের করে আনেন। 

এরপর একটি কিডনি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল শামীমা আক্তার নামের এক রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। সারা ইসলামের অপর কিডনি হাসিনা আক্তার নামের অপর এক রোগীর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। তারা ভালো আছেন।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর