দেশজুড়ে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সর্বনিম্ন দুইজন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মশাবাহিত রোগটি আক্রান্ত মোট ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এই সময়ে নতুন করে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। ফলে ২০২৩ সালে মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৬ জনেই স্থির রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার একই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন করে আরও দুইজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রত্যেকেই ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৫০ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩২ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ১৮ জন চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ৪৬৯ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন। আর চলতি বছরে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৬ জন মারা গেছেন।
প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ এ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন। আর এই বছরে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা গেছেন।
এমএইচ/আইএইচ
