শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ভিন্ন ভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী নই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ভিন্ন ভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী নই’

করোনার ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জন্য একই ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী নন বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের করোনা প্রতিরোধক টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেশনে দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘আমরা যে ভ্যাকসিন তৈরি করা শুরু করেছি, সেটি নির্দিষ্ট স্পাইক প্রোটিনে কাজ করে। এটি অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করে যাতে ভাইরাসকে অবরুদ্ধ করতে পারে। ভাইরাসকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। এ অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী না।’

টিকার এই সহ-উদ্ভাবক বলেন, ‘স্পাইক প্রোটিন বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে বদলায়। সব ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন তৈরি করতে গেলে হয়তো আমাদের ভাইরাসের মূলে যেতে হবে। আমার কাছে এটি অসম্ভব মনে হয়। আমি এই মুহূর্তে ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’

vaccin2

এ সময় গবেষক হিসেবে নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন করোনা প্রতিরোধক টিকার আবিষ্কারক এই বিজ্ঞানী। কর্মজীবনের শুরুতে স্বাধীনভাবে গবেষণা করার জন্য অর্থায়ন করার মতো কাউকে পাননি জানিয়ে সারাহ বলেন, ‘আমি ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজ দিয়ে উপকার করতে চাই। আমি কর্মজীবনের শুরুতে যখন গবেষণা শুরু করতে যাই, তখন স্বাধীনভাবে গবেষণা করার জন্য অর্থায়ন করার মতো কাউকে পাইনি। এটার একটি কারণও আছে। পিএইচডি করার পরও আমার কারও অধীনে দীর্ঘ সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই আমাকে নিজের অর্থায়ন নিজেরই জোগাড় করতে হয়েছিল। তাই বলবো, সফলতা ধীরে ধীরে আসতে পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে যাত্রাটি উপভোগ করা যাবে না।’


বিজ্ঞাপন


তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জীবনে যখন যেটার প্রতি আগ্রহ থাকবে, যেটার জন্য কঠিন সাধনা করার ইচ্ছা থাকবে, সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকা উচিত। এমন কোনো বিষয় নির্বাচন করা উচিত হবে না যে, এটি পড়ে পাস করলে অনেক টাকা কামানো যাবে। সেটাই নির্বাচন করবেন, যেটার প্রতি আপনার অসীম আগ্রহ রয়েছে।’

‘আগে টেস্ট কিট ছিল না, এখন আছে। পরীক্ষার সময় কমে এসেছে। আমরা এখন চিন্তাও এনালাইসিস করার জন্য অনেক সময় পাই। আগে পরীক্ষায় শুধু অনেক সময় চলে যেতো’, যোগ করে ড. সারাহ গিলবার্ট।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর