মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জেলা-উপজেলায় এইডস পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

জেলা-উপজেলায় এইডস পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

পরিচ্ছন্ন জীবন ও সচেতনতার মাধ্যমে এইচআইভি ও এইডস শূন্যতে নামিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এলক্ষ্যে পরীক্ষা নিশ্চিতে প্রতিটি জেলা উপজেলায় এইচআইভি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে এখন পর্যন্ত মোট নয় হাজার ৭০৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এ বছর আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪৭ জন। আর মারা গেছেন ২৩২ জন। তবে দেশে মোট রোগী এইডস রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি বলে ধারণা করা হয়। অর্থাৎ প্রায় চার হাজার রোগী চিকিৎসার বাইরে আছেন। তারা নিজেদের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন। তাদের প্রতি আহ্বান জানাবো তারা যেন এগিয়ে আসেন। কারণ তারা শনাক্ত না হলে তাদের পরিবারই সবার আগে ঝুঁকিতে থাকবেন।'

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সংক্রমণ হার দশমিক ০১ শতাংশ।  ২০৩০ সালের মধ্যে তা শূন্যতে নামিয়ে আনতে চাই। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য সকল রোগীদের পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি জেলা উপজেলা হাসপাতালে এইডস পরীক্ষার ব্যবস্থা রখতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

সামাজিক স্টিগমা ছেড়ে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'বিশ্বের অন্যান্য দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা অনেক রোগী রয়েছে। সে তুলনায় বাংলাদেশে রোগীর সংখ্যা কম। আমরা তা ধরে রাখতে চাই। দেশে এইডসের আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে এইডসের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সকল ধরনের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। তাই সামাজিক লজ্জাবোধের জন্য চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবেন না। এইডস নিয়ে সকল সামাজিক স্টিগমা দূর করতে হবে।’

পরিচ্ছন্ন জীবনের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, 'সংক্রামক ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে, জীবনকে আরও শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করতে হবে। আমাদের দেশে কোটি মানুষ বাইরের দেশে চাকরি করে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা ফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে এইডস বেশি পাওয়া যায়। তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও এইডস পাওয়া যাচ্ছে। দেশ থেকে যাওয়ার সময় সকলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যান কিন্তু আসার সময় কোনো পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় এই রোগ দেশে ছড়াচ্ছে। আক্রান্তরা না জেনেই পরিবারের সদস্যদের এই রোগে আক্রান্ত করছে।'


বিজ্ঞাপন


আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, 'এইডসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্য ফেরত শ্রমিক। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আরও উদ্যোগী হতে হবে। আমরা এলডিজি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এর আওতায় এইচআইভি ও এইডাস প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর। দেশে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এইচআইভি প্রতিরোধে কাজ চলমান আছে। এটি নিয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। তাহলেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব।'

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (এনডিসি) ডা. আশরাফী আহমেদ, জাতিসংঘের প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস ও এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. খুরশীদ আলম।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর