শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সম্মুখযোদ্ধা ও ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১১:০১ এএম

শেয়ার করুন:

সম্মুখযোদ্ধা ও ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ

বৈশ্বিক মহামারি করোভাইরাস সংক্রমণ রোধে সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং গর্ভবতীদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি। একইসঙ্গে আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজের গণটিকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর ইপিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


এই কর্মকর্তা বলেন, করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি। পর্যাপ্ত টিকা আছে। আমরা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী ও সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের শিগগিরই টিকা দেওয়া শুরু করবো।

টিকার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৭ ভাগ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর ৭৩ ভাগ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার পেয়োছ ৫২ ভাগ মানুষ। এ অবস্থায় আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হবে সারাদেশে। এই ক্যম্পেইনের মাধ্যমে ৯০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনে শুধু টিকার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

টিকাদানের প্রস্তুতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, সাত দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে ছয়টি কর্মদিবস পড়বে। এই কর্মদিবসকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। যেদিন প্রচার হবে তার পরের দিন ওই এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। তিন দিন প্রচার করা হবে, তিন দিন টিকা দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য প্রায় ৯০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা। সেভাবে আমরা প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছি।

ডা. শামসুল হক বলেন, আমাদের মোট কেন্দ্রের সংখ্যা হবে ১৫ হাজার ৯৮৪টি এবং সেখানে ১৭ হাজার ১১৬টি টিম কাজ করবে। প্রতিটি টিমে দুইজন করে ভ্যাকসিনেটর হিসেবে মোট ৩৪ হাজার ২৩২ জন এবং প্রতিটি টিমে তিনজন করে মোট ৫১ হাজার ৩৪৮ স্বেচ্ছাসেবী থাকবে। প্রায় এক লাখ মানুষ সরাসরি টিকাদানে জড়িত থাকবে। এর বাইরেও লক্ষাধিক মানুষ পরোক্ষভাবে কাজ করবে।


বিজ্ঞাপন


এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর