বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

করোনার অভিজ্ঞতা থেকে স্বাস্থ্যখাতের মানোন্নয়ন করতে চান মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

করোনার অভিজ্ঞতা থেকে স্বাস্থ্যখাতের মানোন্নয়ন করতে চান মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও চিকিৎসকসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ করোনাযুদ্ধে জয়লাভ করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনা মোকাবিলার এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতের মানোন্নয়নে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধাদের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন দিনগুলো আমরা ভুলিনি। আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। আমরা ভেবেছিলাম করোনা আমাদের দেশে আসবে না। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে আমাদের দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। মৃত্যুর ঘটনাও একই মাসে ঘটেছে৷ আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু আমরা করোনাকেই একটা যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি। এটাকে দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। অনেকে আপনজন হারিয়েছি। আমাদের সবচেয়ে আশার দিক ছিল, চিকিৎসক নার্স টেকনোলজিস্ট কেউ পিছপা না হওয়া। সবাই তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। আমরা সকলে মিলে এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই যুদ্ধে জয়লাভ করেছি।’

জাহিদ মালেক বলেন, 'করোনকালে আমরা কেন আগাম প্রস্তুতি নেইনি সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, সমালোচনা করেছেন। অথচ এটা সম্পূর্ণ নতুন ছিল, এর বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আগাম প্রস্তুতি কি করে নেব? করোনাকালে আমরা হাসপাতাল তৈরিতেও বাধা পেয়েছি। ভয়ে অনেক এলাকার লোকজন হাসপাতাল তৈরি করতে দিতে চায়নি। সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চালুর চেষ্টা করেছি। ভয় পেয়ে অনেকেই তখন চিকিৎসা দিয়ে রাজি ছিল না। কিন্তু সবশেষে সবাই এগিয়ে এসেছে।'

করোনাকালে মন্ত্রণালয়ের কাজ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা শূন্য হতে করোনা মোকাবিলার কাজ শুরু করেছি। অল্প সময়ের মধ্যে করোনা চিকিৎসায় আমরা ২০ হাজার আলদা বেড তৈরি করেছি, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেছি। আমাদের মাত্র একটা ল্যাব ছিল, আর এখন পর্যায়ক্রমে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৮০০ এর অধিক ল্যাব আছে। আমরা জনগণের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছি। আমরা ফ্রন্টলাইনারদের আগে দিয়েছি, এরপর বয়স বিবেচনায় দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নৌকা দিয়ে, পায়ে হেটে, পাহাড় চড়ে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। আমরা একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ টিকা দিয়েছি৷ ফলে আমরা ভালো আছি।'

নিজের নয় বছর দায়িত্ব পালনের তথ্য তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, 'এ সময়ের মধ্যে ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আট বিভাগে হাসপাতাল তৈরির কাজ চলমান আছে। অনেক হাসপাতালে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আমাদের চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে। আমাদের একটি ভ্যাকসিন প্লান্ট তৈরির কাজ চলমান আছে। ১০ বেড আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস সেন্টার তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।' 


বিজ্ঞাপন


'আমরা দেশের স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো, সেবা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে চাই। স্বাস্থখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করতে চাই। যেমনটা আমরা কোভিড মোকাবিলায় সারাবিশ্বে অর্জন করেছি'। যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী, বেসরকারি চিকিৎসা খাত ও গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, 'প্রতিটি কাজের সফলতায় একজন সফল নেতা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দক্ষ হাতেই করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আগলে রেখেছেন। আর সব কাজেই প্রধানমন্ত্রীর ডান হাত নিয়ে কাজ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এমনও দিন গেছে ২০ বারের ওপরেও ফোনে কথা হয়েছে মন্ত্রীর সঙ্গে। তখন সবখানেই নাই আর নাই ছিল। সবকিছুর জন্য মন্ত্রীকে কল দিতাম। তিনি সবসময় সহযোগিতা করেছেন।'

এমএইচ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর