শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

থিসিসে নকল ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হবে চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০২:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

থিসিসে নকল ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হবে চিকিৎসকদের

চিকিৎসকদের থিসিস পেপারে নকল ধরা পড়লে চাকরি চলে যাওয়ার মতো শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। চিকিৎসকদের থিসিস লেখায় স্বচ্ছ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের চতুর্থ তলার লেকচার গ্যালারিতে ‘থিসিস লিখন এবং কপি পরিহার (ওয়ার্কশপ অন থিসিস রাইটিং অ্যান্ড এভয়ডিং অব পেলগেরিজম)’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানত তিনটি কাজ- মেডিকেল শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসা গবেষণা। মেডিকেল শিক্ষা ও সেবার পাশাপাশি আমরা চাই গবেষণায় সেরা হোক এই বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য গবেষণার কাজে থিসিস লেখায় স্বচ্ছতা থাকা চাই। তাই সবার আগে কীভাবে থিসিস লিখতে হয় তা জানানোর জন্য এ ধরনের সেমিনার ও কর্মশালার প্রয়োজন। গবেষণায় কাট কপি পেস্ট করা যাবে না। থিসিস পেপার জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই সুপারভাইজারদের পরামর্শ নেওয়া ও দেখানো উচিত। থিসিস পেপারে নকল ধরা পড়লে চাকরিও যাওয়ার মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়।’

গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গবেষণার কাজে তরুণ শিক্ষকেদর এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য দেশে প্রখ্যাত গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সহকারী অধ্যাপকদের কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া ও মূল্যায়ন করা হয়, সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তরুণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও গবেষকদের কাজে লাগাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে বলেছিলেন, গবেষণার দরজা যেন বন্ধ না করি। গবেষণার জন্য সকল দরজা যেন বিএসএমএমইউতে খোলা রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনেই আমরা অবসরপ্রাপ্ত গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছি। গবেষণার দোয়ার সবার জন্য উন্মুক্ত করা আছে।’

কোর্স কারিকুলাম আপডেট করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দশ বছর পরপর কোর্স কারিকুলাম আপডেট করার কথা রয়েছে। বর্তমান কোর্স কারিকুলাম দশ বছরের বেশি হয়ে গেছে। আমি চাই কোর্স কারিকুলাম আপডেট হোক। আমি শুরু করে যেতে পারলে হয়তো এটি শেষও হবে।’

এসময় তিনি কোর্স কারিকুলাম আপডেট করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ইনডেক্সিং করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটি করা হয়ে যাবে বলেও জানান অধ্যাপক শারফুদ্দিন।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সাইন্স অ্যান্ড প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল কোপাস ইন্ডেক্সিং করা হবে। এজন্য মানসম্পন্ন গবেষণা প্রয়োজন। এ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

কর্মশালায় বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাম্মেল হক ‘টাইটেল অ্যান্ড এবস্ট্রাক্ট’, প্যাথোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান গবেষণার ‘ভূমিকা’, এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম গবেষণায় ‘রেজাল্ট অ্যান্ড ডিসকাশনস’, ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম গবেষণায় ‘রেফারেন্সিং অ্যান্ড এভয়ডিং অব পেলগারিজম’বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর