বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগ ২০-৩০ বছরের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ০১:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগ ২০-৩০ বছরের মধ্যে
ফাইল ছবি

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ায় কোনো সমস্যা বা সমালোচনা নেই। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, যা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ নয় স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (১৩ নভেম্বর)  রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’য়ে আয়োজিত ডেঙ্গুর নতুন গাইডলাইন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। তবে তা চিকিৎসা নিয়ে নয়। যা সমালোচনা হচ্ছে তা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু চিকিৎসা করে, আর নিয়ন্ত্রণের কাজটি করেন অন্যান্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য বিভাগ তার দায়িত্ব পালন করছে। ফলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও চিকিৎসা নিয়ে কেউ সমালোচনা করেনি। 

ডেঙ্গু চিকিৎসায় মন্ত্রণালয় সফল দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে প্রথম ডেঙ্গু পেয়েছিলাম। তখন সকলে মিলেই সুন্দরভাবে মোকাবেলা করেছি। তখনও অনেক সমালোচনা হয়েছে। তখনও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমালোচনা ছিল না। এরপর কোভিড এলো, তখন একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল করে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। সারাদেশেই এটিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ট্রিটমেন্ট প্রটোকল ভালো ভূমিকা রেখেছে। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ছিল না, একটি মাত্র ল্যাব ছিল। বিনামূল্যে আমরা রেমডিসিভির দিয়েছি। অর্থাৎ যখন যেই ব্যবস্থা বিশ্বে প্রয়োগ হয়েছে, আমরা সেটিও করেছি এবং সর্বোপরি সফল হয়েছি।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর আবার ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে। যারা কাজকর্ম করে, তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। আক্রান্তদের বেশিরভাগ ২০-৩০ বছরের মধ্যে। তাদের অনেকেই তিন দিনের মধ্যে মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে দেরিতে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি বেশি হচ্ছে। তবে সময়ের প্রয়োজনে আগের গাইডলাইনটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক,  নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছে। আশা করি ডেঙ্গু কমে আসবে। এছাড়া শীতও চলে আসছে।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার মান বৃদ্ধি করার জন্য সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আসরা চাই চিকিৎসকদের উপস্থিতি এবং যন্ত্রপাতিগুলো যেন সচল থাকে। অনেক সসময় আল্ট্রা-ইকো মেশিনগুলো নষ্ট থাকে, যেকারণে রোগীরা বাইরে চলে যায়। যাদের মেশিন নেই, চাহিদা দেবেন, আমরা দিয়ে দেব। হাসপাতালগুলো পরিস্কার রাখবেন। তাহলেই সব ঠিক থাকবে।


বিজ্ঞাপন


ডেঙ্গুকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার ধাক্কা, যুদ্ধ, সবমিলিয়ে আমরা বড় একটি ধাক্কা খেয়েছি। এখন আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। শুধু যে আমাদের দেশেই ডেঙ্গু হচ্ছে তা নয়, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই দেখা দিয়েছে। আমাদের থেকে তাদের আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে।

এ সময় স্বাস্থ্যখাতের সফলতা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমাদের ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছে, ভারতে মারা গেছে ৫ লাখ, আমেরিকায় ১২ লাখ। ইউরোপে প্রতি দশ লাখে প্রায় তিন হাজার লোক মারা গেছে। প্রধানমন্ত্রী গাইডলাইন দিয়েছিলেন বলেই করোনা মোকাবিলায় আমরা সফল হয়েছি। টিকা প্রয়োগেও আমরা সফল হয়েছি। ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা আমরা বিনামূল্যে দিয়েছি। পৃথিবীর কম দেশই এত টাকা খরচ করেছে। ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল করেছি, সফলতার সাথে। কেউ পিছপা হইনি।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর