বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সোহরাওয়ার্দীতে রোগীর চাপ কম, বেড খালি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২৮ এএম

শেয়ার করুন:

সোহরাওয়ার্দীতে রোগীর চাপ কম, বেড খালি

মিরপুর-৬ নম্বর এলাকার বাসিন্দা সুজন হালদার। কয়েকদিন আগে তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। নিজের বাসার কাছাকাছি একাধিক সরকারি হাসপাতালে ঘুরেও একটি বেড পাননি। পরে বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোববার থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি।

সুজন হালদারে স্ত্রী ঢাকা মেইলকে জানান, সুজনের প্লাটিলেট ৬ থেকে ১৬ হাজারের মধ্যে ওঠানামা করছে।


বিজ্ঞাপন


সুজন হালদারের পাশের বিছানায় শুয়ে আছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি এসেছেন ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা থেকে। স্থানীয় হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়ায় রাজধানীতে আসতে হয়েছে তাকে।

dengue

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ৬৩৪নং ওয়ার্ডটি ডেঙ্গু ইউনিট। সেখানে দায়িত্বরত সেবিকারা জানান, হাসপাতালটিতে বর্তমানে ৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।

বেশিরভাগই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে এখানে ভর্তি হয়েছেন। অন্য হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য গুনতে হয় অনেক টাকা। তাই সরকারি হাসপাতালই তাদের ভরসা। আবার হাসপাতালটির চিকিৎসক বা নার্সদের বিষয়েও অভিযোগ নেই ভর্তি রোগীদের।

ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, মূল ওয়ার্ডের ভেতরের প্রতিটি বেডেই রোগী আছে। ওয়ার্ডের বারান্দায় বসানো বাড়তি বেডগুলোর অর্ধেক রোগীতে পূর্ণ। বাকি অর্ধেক এখনও খালি।

dengue

দায়িত্বরত নার্সরা জানান, সম্প্রতি হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে। নতুন রোগী আসলে তারাও বেড পাবেন।

এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের থাকতে হয় মশারির ভেতর। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য মশারিও সরবরাহ করা হয়। সেবিকাদের দায়িত্ব রোগীকে সার্বক্ষণিক মশারির মধ্যে রাখা। 

তবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। অনেক রোগীই মশারি ছাড়া শুয়ে আছেন।

রোগীদের ছবি তুলতে গেলে নার্সরা এই প্রতিবেদককে কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর সব রোগীর বিছানায় মশারি টানানো হয়। তারপর ছবি তুলতে দেন। এ সময় একজন রোগীর জন্য তাৎক্ষণিক মশারি সরবরাহ করতেও দেখা গেছে।

কারই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর