শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ঢাকার দুই সিটিতে ডেঙ্গুর ‘ডেঞ্জার জোনে’ ২৭ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২৭ এএম

শেয়ার করুন:

ঢাকার দুই সিটিতে ডেঙ্গুর ‘ডেঞ্জার জোনে’ ২৭ ওয়ার্ড
ছবি: ঢাকা মেইল

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে যাচ্ছে। প্রতিদিনিই নতুন করে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালিত এক জরিপে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের মোট ২৭টি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। 

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এতথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এতে জরিপের তথ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪০ ওয়ার্ডে ৪৮টি সাইট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি সাইটসহ মোট ১১০টি সাইটে ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। গত ১১ থেকে ২৩ আগস্ট ২১টি টিমের মাধ্যমে ১০ দিনব্যাপী যৌথভাবে এই জরিপ পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর সিটি করপোরেশনগুলো। প্রতিটি টিম অন্তত ১৫টি সাইট সার্ভে করে। 

জরিপ ফলাফলে দেখা গেছে, তিন হাজার ১৫০টি বাড়িতে পরিচালিত এই জরিপে দুই হাজার ৮২৯টি বাড়িতেই নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, আর ১৫৯টি বাড়িতে ডেঙ্গু ফলাফল পজিটিভ এসেছে। মোট পজিটিভ আসা বাড়িগুলোর মধ্যে ৬৩টি বাড়ি ডিএনসিসিতে এবং ৯৬টি বাড়ি ডিএসসিসিতে অবস্থিত।

জরিপে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে এ লার্ভা পাওয়া যায়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে মোট ১০ শতাংশ বাড়িতেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। 

উৎস বিবেচনায়, দুই সিটিতে পড়ে থাকা বা ফেলে রাখা ভেজা পাত্রে সবচেয়ে বেশি মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঘর বা ভবনের মেঝেতে থাকা প্লাস্টিকের ড্রাম বা প্লাস্টিকের নানা ধরনের পাত্রেও এই লার্ভা পাওয়া গেছে। ঢাকা দক্ষিণ করপোরেশনের ২৬ শতাংশ এ ধরনের পাত্রে ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ পাত্রে মশার এই লার্ভা পাওয়া গেছে। 


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জরিপকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২টি ওয়ার্ডের মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাড়ি পরীক্ষা করেছেন। এসব বাড়িতে মোট ১ হাজার ৩৩৭টি ভেজা পাত্র পাওয়া গেছে। সেখানে প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। 

অন্যদিকে প্রায় ২২ শতাংশ ভেজা পাত্রে মশার লার্ভা ছিল। মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড (কমলাপুর ও মতিঝিল), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড (নবাবপুর ও বংশাল) এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ারী ও নারিন্দা)।

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর