বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:২৫ এএম

শেয়ার করুন:

বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন আজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নবনির্মিত হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। 


বিজ্ঞাপন


বিএসএমএমইউর বি ব্লকের শহীদ ডা. মিল্টন হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জনাব মো. সাইফুল হাসান বাদল, রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন প্রমুখ।

হাসপাতালটির সেবার বিষয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য জানান, 'এই হাসপাতালে ৭৫০টি শয্যা থাকবে। এখানে সব ধরনের জরুরি রোগীদের দ্রুততম সময়ে সেবা দেওয়া হবে। জরুরি বিভাগেই অপারেশন থিয়েটার থাকবে। রোগীর অবস্থা নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান, এমআরআইসহ সব ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা জরুরি বিভাগেই থাকবে। আমাদের এখানে ভিআইপি, ভিভিআইপি, ডিলাক্স কেবিনসহ ৫৪০টি শয্যা থাকবে। আর ১০০টি জরুরি শয্যা থাকবে। পাশাপাশি মোট ১০০টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যা থাকবে। এর মধ্যেই এনআইসিইউ, পিআইসিইউ এবং মেডিকেল সার্জিকেল আইসিইউ থাকবে।'

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে হাসপাতালটির দুটি বেসমেন্টসহ ১৩ তলা ভবনে থাকবে বিশ্বমানের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ, জরুরি বিভাগে থাকবে ১০০টি শয্যা। এছাড়া ছয়টি ভিভিআইপি কেবিন, ২২টি ভিআইপি কেবিন এবং ডিলাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আটটি করে শয্যা। সেবার গুণগতমান বজায় রাখতে হাসপাতালটির আসবাবপত্র ও সরঞ্জামগুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১২ সালে হাসপাতাল সংলগ্ন প্রায় ১২ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জনগণের জন্য বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন করা হয়। পরে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ইডিসিএফের ঋণ সহযোগিতার মাধ্যমে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে মোট এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আর বাকি ৩০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণটি ৪০ বছর মেয়াদি। তবে এর প্রথম ১৫ বছর কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না। তারপর থেকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ সুদে এই ঋণ শোধ দেওয়া শুরু করবে সরকার।

এমএইচ/একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর