যেকোনো ব্যথাই হতে পারে মৃত্যুর কারণ

তারা জানান, পেটের রোগের অন্যতম হচ্ছে পেটে ব্যথা। প্রতিদিন এই পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। যার বেশিরভাগ কারণ নির্ণয় করা গেলেও প্রায় ৩০ শতাংশ কারণ নির্ণয় করা যায় না। পেটে ব্যথার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে পেপটিক আলসার ডিজিজ, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ, আইবিএস, পিত্তথলীর প্রদাহ, পিত্তথলী ও পিত্তনালির ভেতর পাথর, লিভারের প্রদাহ (হেপাটাইটিস) ইত্যাদি।

পেট ব্যথা মৃত্যুর কারণ হতে পারে জানিয়ে বলা হয়, কিছু ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যেমন পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, পিত্তথলীর ক্যানসার। রোগীর ইতিহাস, শারীরিক ও ল্যাবরেটোরি পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা সঠিক সময়ের ভেতর পেটে ব্যথার কারণ সম্পর্কে অবগত হতে পারি। কিছু ক্ষেত্রে বুকের ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, এন্ডোসকপি, কোলনস্কপি  পরীক্ষাগুলো করা বিশেষ প্রয়োজন হয়। শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপসর্গ হিসেবে পেটে ব্যথার অন্যতম যা অনেকাংশেই অনির্ণীত থাকে, যেমন হার্টের রোগ।

চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, বয়স্ক রোগী, মহিলা ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীরা পেট ব্যথার সমস্যায় বেশি ভোগেন। এর উপসর্গ নিয়ে অনেকে চিকিৎসকের কাছে আসেন। এসব উপসর্গের মধ্যে এপেন্ডিসাইটিস, পিত্তথলির পাথর, অন্ত্র ফুটো হয়ে যাওয়া, অন্ত্রে প্যাচ লেগে যাওয়া, নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ের নালিতে প্যাচ লেগে যাওয়া অন্যতম। যদি কোনো রোগীর পেটে ব্যথা সাধারণ ওষুধে না কমে এবং ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে অথবা কোনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। সুতরাং পেটে ব্যথাকে অবহেলা আর নয়। পেটে ব্যথা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিকটস্থ চিকিৎসকের শরাণপন্ন হয়ে সঠিক  চিকিৎসা করলে এই উপসর্গ থেকে দীর্ঘমেয়াদী পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সাব কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সেমিনারে তিনটি প্রবন্ধের ওপর বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন।

এমএইচ/জেবি