বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পিসিওএসে আক্রান্ত অধিকাংশের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

পিসিওএসে আক্রান্ত অধিকাংশের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে (পিসিওএস) আক্রান্তদের বেশিভাগই ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী কিশোরী বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হরমোনজনিত রোগটিতে প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন নারীরা আক্রান্ত হয় বলে জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ ব্লক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


সেমিনারে বলা হয়, বিশ্বে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে একজন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস রোগে আক্রান্ত। প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীরা সাধারণত এ রোগে ভুগছেন। আক্রান্তের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী কিশোরীর সংখ্যাই বেশি। দেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর অন্যতম কারণ এ রোগ। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, বন্ধ্যত্ব, জরায়ু ক্যান্সারসহ দীর্ঘস্থায়ী অসংক্রামক রোগ বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে পিসিওএস। 

এ অবস্থায় পিসিওএস নির্মূলে ওজন নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনসহ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকরা।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন  আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন বলে আজ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ৩৯৭টি  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করেছেন। এখন বাংলাদেশে ৩১টি ওষুধ বিনামূল্যে রোগীদের মাঝে বিতরণ করছে বর্তমান সরকার। তার মধ্যে ডায়াবেটিসের ইনসুলিনও গ্রামের মানুষের মাঝে বর্তমান সরকার বিতরণ করছে।

তিনি বলেন, পিসিওএস নারীর বহুমুখী রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে দৈহিক ওজন কমানোসহ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন জরুরি। অনেকে অনেক ধরণের রোগে ভুগেন। সেটি কী রোগ সেটি জানেন না। কিছু উপসর্গ দেখে সুনির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে কোনটি পলিসিস্টিক, কোনটি হরমোন জনিত রোগ সেটি জানা যাবে। সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে সুস্থ হওয়া যাবে। পলিসিস্টিক একটি হরমোন জনিত রোগ। এ রোগের ফলে নারীদের পিরিয়ডের অনিয়মতা, ইনফারলিটি ও বন্ধ্যাত্ব হয়ে থাকে। এটি বহুমাত্রিক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এ রোগটির হরমোন জনিত হলেও জীবনাচার পরিবর্তন করে সুস্থ থাকা যায়।
 
বিশ্ববিদ্যালয়েরর গবেষণার মান আরও ভালো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক মানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গবেষণায় ভাল করার অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য আমরা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা পিএইচডি গবেষণার জন্য ২৬টি থিসিস পেয়েছি। আমাদের প্যানেল অব এক্সাপার্টরা সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। আশা করছি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার মান আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে।


বিজ্ঞাপন


সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির মহাসচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম ও বাংলাদেশ পিসিওএস টাস্কফোর্সের মহাসচিব সহকারী অধ্যাপক ডা. এ বি এম কামরুল হাসান ।

সেমিনারে প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান, বিএসএমএমইউর এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহম্মদ আবুল হাসানাত, অধ্যাপক ডা. এস এম আশরাফুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. মো.ফরিদ উদ্দিন, মা ও প্রসূতি বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল, রেডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোছা. সাঈদা শওকত, ইউনাইটেট হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এমএইচ/একেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর