শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে কে না চান। কিন্তু ওজন কমনো ওত সময় নয়। কেননা, একবার ওজন বাড়তে শুরু করলে লাগাম ঘরে রাখা কঠিন। তখন শত চেষ্টায় কমে না ওজন। বরং বাড়তেই থাকে। আপনি যদি দৃঢ় প্রত্যয়ী হোন, ওজন কমিয়েই ক্ষান্ত হতে চান-তবে সম্ভব। জানুন মাত্র ৭ দিনে কীভাবে ওজন কমিয়ে ফিট থাকবেন।
শরীরের ওজন বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে দুশ্চিন্তায় খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। অনেকে না খেয়ে শরীর শুকানোর চেষ্টা করছেন। আবার কেউবা কয়েকদিন ব্যায়াম করে বন্ধ করে দিয়েছেন। এভাবে অনিয়মের কারণে শরীরের আদর্শ ওজন তৈরি হওয়ার পরিবর্তে নানা রকম অসুখ হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
আপনি যদি ব্যায়াম ছাড়াই মাত্র ৭ দিনে ৪-৫ কেজি ওজন কমাতে চান তবে ডায়েট চার্ট মেনে চলুন।
এখানে ৭ দিনে শরীরের ওজন ৪-৫ কেজি কমানোর একটি খাদ্য তালিকা দেওয়া হল যা এফএডি ডায়েট (FAD diet) নামে পরিচিত। এটাকে অনেকে ক্র্যাশ ডায়েট নামেও চেনেন। তবে যারা একটু শারীরিকভাবে দুর্বল এবং হার্ট, কিডনি, ডায়বেটিসসহ অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা খুব সাবধানতা অবলম্বন করুন। প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর এই তালিকাটি মেনে চলবেন।
ওজন কমানোর ক্র্যাশ ডায়েট
বিজ্ঞাপন
প্রথম দিন
প্রথম দিনটি শুরু হবে যে কোন ফল অথবা জুস দিয়ে। যতটুকু খেতে পারেন খান। তরমুজও খেতে পারবেন। তবে কলা খাওয়া যাবে না।
দ্বিতীয় দিন
তেল না দিয়ে রান্না করা অথবা সামান্য তেল দিয়ে সবজি, সবজি ভাজি অথবা সবজি সুপ খান। দ্বিতীয় দিনটি শেষ করুন।
তৃতীয় দিন
প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনের মেনু এক সঙ্গে করে কলা বাদ দিয়ে যে কোন ফল এবং সবজি যতটুকু খেতে পারেন খান।
চতুর্থ দিন
চতুর্থ দিনে ৮টি কলা এবং ৪ গ্লাস দুধ অথবা ৫টি কলা ও ৫ গ্লাস দুধ এবং ১ কাপ সবজি সুপও খেতে পারেন।
পঞ্চম দিন
১ কাপ ভাত, ৬টি টমেটো অথবা যে কোন সিদ্ধ অথবা অল্প সেদ্ধ সবুজ সবজি দিয়ে পঞ্চম দিনের খাওয়ার চার্ট তৈরি করুন।
ষষ্ঠ দিন
পঞ্চম দিনের মত একই নিয়মে ষষ্ঠ দিনের খাওয়ার মেনু তৈরি করে খতে পারেন। তবে, কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস পানি খেতে ভুলে যাবেন না।
সপ্তম দিন
পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিনের মত শেষ দিনেও ১ কাপ ভাত, সেদ্ধ অথবা অল্প সিদ্ধ সবুজ সবজি কিংবা ফলের জুস এবং এক টুকরা মাছ অথবা ১০০-২০০ গ্রাম মুরগি অথবা গরুর মাংস খেতে পারেন।
ক্র্যাশ ডায়েট চার্ট অবলম্বনে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
এই সাত দিনে কমপক্ষে প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানি খেতে হবে। ভারী কোন ব্যায়াম করা যাবে না। এই সাত দিনের মধ্যে শরীর খুব বেশি দুর্বল মনে হলে নিয়মটি বন্ধ করে দিতে হবে। ৭ দিন শেষ হওয়ার পর খাবারের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়াতে হবে এবং অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং পুনরায় এই নিয়ম শুরু করতে হলে কমপক্ষে এক সপ্তাহ বিরতি দিতে হবে।
এজেড

