মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে

হেলথ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ১০:২১ এএম

শেয়ার করুন:

যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে

কিডনিতে পাথর হলে নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এটি একটি গুরুতর রোগও বটে। তাই এই অসুখটিকে যতটা দ্রুত সম্ভব চিহ্নিত করতে হবে।তবে বহু ক্ষেত্রে মানুষ কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণটা জানেন না। আর এই কারণেই সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। কারণ এই অসুখকে প্রথমাবস্থায় ধরে ফেলতে পারলেই সমস্যা বহুগুণ কমতে পারে। অন্যথায় বাড়তে থাকলে একটা সময় পরে অপারেশন ছাড়া কোনও গতি থাকে না। জানুন কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণসমূহ। 

kidnyকিডনি স্টোনের ব্যথা বেশিরভাগ মানুষই সহ্য করতে পারেন না। তারপরও প্রথমদিকে বিষয়টি নিয়ে মানুষ ছেলেখেলা করতে শুরু করে দেন। এই কারণে একটা সময়ের পর গুরুতর দিকে মোড় নেয় রোগ। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।


বিজ্ঞাপন


কিডনি স্টোনের প্রথমেই লক্ষণ ধরে নিতে পারলে রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হয়। রোগ দ্রুত ধরা পড়লে সহজেই করা যেতে পারে চিকিৎসা। তাই এর লক্ষণ জানতেই হবে।

​কিডনিতে পাথর জমলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়

কিডনিতে পাথর হলে কোমরের নিচের দিকে ব্যথা হয়। পিঠের দিকেও ব্যথা হতে পারে। এছাড়া ব্যথাটা তলপেটের দিকে আসে। আবার ইউরিন করার সময় ব্যথা হতে পারে। ব্যথাটা হয় অসহ্য। এছাড়া ইউরিনে ব্ল্যাড বা ইউরিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

kidny​কাদের বেশি হয়?


বিজ্ঞাপন


শরীরে ফসফেট, ক্যালশিয়াম, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রে বেশি থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া যারা কম পানি পান করেন তাদেরও এই অসুখ হয়ে থাকে। এবার এই বিষয়টিও মাথায় রাখতেই হবে।

রোগ নির্ণয় হয় কীভাবে? 

কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য চিকিৎসকরা প্রথমে ইউএসজি টেস্ট করতে দেন। এক্ষেত্রে ইএসজি অব কেইউবি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব না হলে দিতে হয় সিটি স্ক্যান অব কেইউবি। এতেই রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়। তাই চিন্তার কিছু নেই।

kidnyকিডনি স্টোনের চিকিৎসা কী? 

কিডনিতে ছোট আকারের পাথরহলে তা ওষুধ দিয়ে বের করার চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে ৭ এমএম-এর নিচে কিডনি স্টোন হলে ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধের মাধ্যমে মূত্রের সঙ্গে স্টোন বেরিয়ে যেতে পারে। তবে স্টোন এর থেকে বড় আকারের হলে অন্য পদ্ধতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কিডনির উপরের দিকে স্টোন হলে শক ওয়েভ দিয়ে স্টোন ভেঙে দেওয়া হয়। এছাড়া নিচের দিকে হলে করতে হয় অপারেশন। আর এক্ষেত্রে সার্জারি খুবই সহজ। রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।

একবার স্টোন হলে বারবার হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভালোমতো পানিপান করতে হবে। দিনে অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার পানিপান বাধ্যতামূলক।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর