ডায়াবেটিস রোগ হলে খাবার-দাবারে নানা বিধি-নিষেধ থাকে। অনেক কিছুই খাওয়া বারণ। আবার কিছু কিছু খাবার অল্প খেতে হয়। অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস হলে মিষ্টিজাতীয় ফল খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে পেঁপে। অনেকেই জানতে চান ডায়াবেটিস হলে পেঁপে খেতে পারবেন কি না। বিস্তারিত জানুন প্রতিবেদনে।
পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল। সকালে ব্রেকফাস্টে পেঁপে খাওয়া যেতে পারে। আবার দুপুরে লাঞ্চের পর ভরা পেটেও পেঁপে খেতে পারেন। এছাড়াও সকালের দিকে যে কোনও সময় অন্যান্য ফলের সঙ্গে পেঁপে দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
পেঁপের পুষ্টিগুণ আপনাকে রীতিমতো অবাক করবে। পেঁপে খাচ্ছেন মানে আপনার শরীরে যাচ্ছে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, বিটা ক্যারোটিন, আয়রন এবং আরও কত কী।
জ্বর, পেট খারাপ, মাথা ব্যথার মতোই এখন ডায়াবেটিসের সমস্যাও ঘরে ঘরে। চিকিৎসকদের বারণ সত্বেও ভুক্তভোগীদের মধ্যে সচেতনতার লেশমাত্র দেখা যায় না। খাবারে পরিবর্তন ডায়াবিটিস মুক্তির অন্যতম সহজ পথ।

গবেষণা কী বলছে?
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, পেঁপের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। আবার ডায়াবেটিস এড়াতে আয়ুর্বেদের ক্ষেত্রেও পেঁপের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
একাধিক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ফাইবারযুক্ত খাবার খেয়ে উপকৃত হয়েছেন। সেই কারণে চিকিৎসকরাও ফাইবার আছে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
পেঁপে রক্তে প্রভাব ফেলে কি?
রক্তে যাদের শর্করার পরিমাণ বেশি, তারা যা ইচ্ছে খেতে পারেন না। পেঁপে সেক্ষেত্রে বিপদসীমার বাইরে। পেঁপে রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড এবং ইনসুলিনের মাত্রা উন্নত করতে সক্ষম।
যেহেতু পেঁপেতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এজেন্ট, তা বয়সে বেশি ডায়াবেটিকদের শরীরের বিশেষ খেয়াল রাখে। আবার যারা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সহায়ক।
কারা পেঁপে খাবেন না?
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে উপকারী হলেও যারা ডায়ারিয়া ও পেট ফাঁপার সমস্যাতে ভোগেন, তাদের পেঁপে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। পেঁপে মধ্যস্থ ল্যাটেক্স ও প্যাপাইন ইউটেরাসের জন্য ক্ষতিকর। ফলে গর্ভাবস্থায় পেঁপে ছুঁয়েও দেখবেন না।
এজেড

