বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দেশে টিকার চতুর্থ ডোজ লাগবে কি না গবেষণা চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

দেশে টিকার চতুর্থ ডোজ লাগবে কি না গবেষণা চলছে
ফাইল ছবি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজ নিতে হবে কি না- তা নিয়ে গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সেই সঙ্গে গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ব্লকে আয়োজিত এক ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


‘রিসার্চ প্রোটোকল: ইথিক্যাল অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্যাল ইস্যুজ’ সম্পর্কিত দিনব্যাপী ওই ওয়ার্কশপের আয়োজন করে বিএসএমএমইউ’র বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদ।

গবেষণায় উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের অনেক কিছু করার আছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি, জেনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কিভাবে হবে শিশুদের টিকার নিবন্ধন?


বিজ্ঞাপন


গবেষণার ক্ষেত্রে রোগী ও জনকল্যাণ সম্পর্কিত নতুন নতুন গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে উল্লেখ করে বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ‘আগামী ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দিবস উদযাপন করা হবে। ভালো গবেষণা ও থিসিসের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।’

ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গবেষণায় উৎকর্ষ আনয়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে বছরব্যাপী গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।

BSMMU

এছাড়া সভাপতির বক্তব্যে বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান হয়ে উঠেছে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন (ইভিএম)। আর এই এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা দিতে হলে প্রথমে দরকার গবেষণা। এ জন্য প্রত্যেক চিকিৎসককে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের ক্ষেত্রে বেশি বেশি রিসার্চ মেথোডলজি অধ্যয়ন অত্যাবশ্যকীয়।

বিশেষ করে পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রিসার্চ করতে প্রাথমিকভাবে রিসার্চ প্রোটোকল কীভাবে তৈরি করতে হবে এবং এর পরিসংখ্যান পদ্ধতি কি ধরণের হবে সে বিষয়ে গভীর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসএমএমইউ’র বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, বায়োকেমিস্টি ও মলিকুলার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাম্মেল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর