শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

‘৪২ চিকিৎসক-কর্মকর্তার বিদেশ সফর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘৪২ চিকিৎসক-কর্মকর্তার বিদেশ সফর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়’

সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৪২ কর্মকর্তার বিদেশ সফর সংক্রান্ত বিষয়টি তাদের আওতাভুক্ত নয় বলে  জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৪ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের উন্নয়ন, বিদেশ সফরে যাবেন ৪২ কর্মকর্তা’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সূত্র ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে এ  বিষয়ের সর্বশেষ তথ্য এবং এই সময়ে এভাবে এতজন কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়ার অনুমোদন কীভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হলো তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।

এ প্ররিপ্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হওয়ার লক্ষ্যে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালটি পুরোপুরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি হাসপাতাল। এর রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মচারীদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে কোনো কিছুই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়।

এর আগে একই দিন বিভিন্ন গণমধ্যমে সংবাদে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফরে বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তালিকা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পে ৩২ জনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রথম সংশোধনীতে ১০ জন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪২ জনে। এতে বাড়ছে খরচও। প্রথমদিকে খরচ ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এখন ৪৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। 

উল্লেখ্য, এ প্রকল্পটির মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এখন প্রথম সংশোধনীতে এসে ৪৯ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয় ৪২৯ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ে ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এদিকে মূল অনুমোদনের সময় ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। পরে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে করা হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এখন প্রথম সংশোধনীতে এক বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুরু থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। এছাড়া বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ। রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফুলবাড়িয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।  


বিজ্ঞাপন


এমএইচ/ একেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর