দই পুষ্টিকর দুগ্ধজাত খাবার। যা প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক। উৎসব আয়োজনে ভূড়িভোজ শেষে দই খাওয়ার চল। শেষ পাতে দই রসনা মেটায়। প্রশ্ন উঠেছে দই কি সব সময় খাওয়া যায়? বিশেষ করে রাতে দই খাওয়া কি ভালো?
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভালো জিনিসও সবসময় উপকার করে না। দইও অনেকটা তেমনই। রাতে শোওয়ার আগে টকদই খাওয়া মোটেই ভাল নয়।
বিজ্ঞাপন
রাতের খাবার শেষে দই খেলে হজমের গুরুতর সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যাদের হজমশক্তি কম।
এছাড়াও যাদের গ্যাস্ট্রিক-আলসারে ভুগছেন তাদের অ্যাসিডিটি বাড়ে। অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়। বদহজমের সমস্যায় ভোগ রোগীরা রাতে ঘুমানোর আগে ভুলেও দই খাবেন না।
যে কারণে রাতে দই নয়
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রাতে ঘুমনোর আগে মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া তুলনায় অনেক ধীরে হয়। সেই কারণে ওই রোগীদের হজমপ্রক্রিয়া ধাক্কা খায়।
বিজ্ঞাপন
রাতে পাতে দই থাকলে বাড়তে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। ঠান্ডা লাগার সমস্যাও হতে পারে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের রাতে দই খাওয়া উচিত নয়।
গলায় ব্যথা থাকলে, টনসিল সংক্রমণের সমস্যা থাকলেও দই খেতে বারণ করা হয়। শরীরে ব্যাথা বাড়তে পারে রোজ রাতে দই খেলে।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও রাতে দই খাওয়ার নিষেধ রয়েছে। রাতে তুলনায় ঠান্ডা থাকে পরিবেশ। ফলে রাতে দই খেলে ঠান্ডা লেগে শরীরে কফ বাড়ে। যেহেুতু ব্যাকটেরিয়ায় মাধ্যমে দুধ থেকে দই তৈরি হয়। তাই সেই ধরনের খাদ্য রাতে খাওয়া শরীরের পক্ষে অনুচিত। যারা বাতের সমস্যা, আর্থারাইটিসের মতো রোগে ভুগছেন তাদের জন্যও রাতে দই খাওয়া উচিত নয়।
এজেড

