সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অবিভাবকের ভূমিকা পালন করবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট নিউরোসায়েন্সস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

H

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, নিউরোসায়েন্সসের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতাল পুরো দেশের জন্য অবিভাবকের ভূমিকা পালন করবে। পুরো দেশের নিউরোসায়েন্সস ইন্টিগ্রেটেড করা এই ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব। 

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এক্সপানশন অব ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হসপিটালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালে সাধারণত সিনিয়র ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা কাজ করবেন এবং তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়াটা শেষ করেছি। আনুমানিক ১০ হাজার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পদায়ন করার কাজ চলছে। একটা ট্রান্সপারেন্ট প্রক্রিয়ায় পদায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে এখানে কাজ করব। আমাদের সবার পক্ষ থেকে এই ইনস্টিটিউটের অগ্রাধিকার আগে। তবে নতুন এই ভবন মেনিটেইন্সের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। জনবলের অভাবে আমাদের ৮০টি ভবন অব্যবহিত অবস্থায় রয়েছে। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) সচিব সাইদুর রহমান বলেন, ঢাকা মেডিকেলের নিউরো বিভাগে পা ফেলার জায়গা নাই। সেই তুলনায় নিন্সের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপিটাল সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সুন্দর রাখতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে রোগী এলে আগে ফেরত দেওয়া হতো, কিন্ত এখন সেটা কমে যাবে এবং আশা করছি এই রোগীদের ঠিকানা রেখে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করবে নিন্স।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, আমি যখন এই হাসপাতালে প্রথম প্রবেশ করলাম আমার মনে হলো এটা বিদেশের কোনো হাসপাতাল। আজ স্বপ্ন পূরণের দিন। অমরা আশা করব মানুষের আস্থা অর্জন ও ধরে রাখতে পারবে। স্বাস্থ্য সেবায় এই হাসপাতাল একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং করেছে। প্রকৃত পক্ষে সাড়ে ১০ হাজার চিকিৎসকের প্রমোশন হচ্ছে। এই হাসপাতালে আমরা আরও জনবল নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে রোগীরা যেন এখানে এসে হয়রানির শিকার না হয়। অমরা সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করব।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, সহকারী প্রতিষ্ঠানে যে এত সুন্দর সেবা সম্ভব এটা না দেখলে বুঝা সম্ভব না। তবে এই মান ধরে রাখতে হবে। অমরা অনেক চিকিৎসকরা নিজের কাজের বাইরে কিছু করতে চায় না। এটা পরিবর্তন করা দরকার। 

এসময় বক্তব্যে অন্যরা বলেন, আগে আমরা বেডের সংকটের কারণে অনেক সিরিয়াস রোগীকে আমার চাইলেও ভর্তি করতে পারতাম না। মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দিয়েছি। আশা করছি, এই সমস্যাটা এখন আর হবে না। আমরা আরও বেশি রোগীদের সেবা দিতে পারব। 

এসএইচ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর