মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের প্রয়োজন হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ০৩:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

‘করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের প্রয়োজন হবে না’

মহামারি করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের মুখে বাংলাদেশ। তবে এই ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি আয়োজিত ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


সেমিনারে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপির’র ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইউজিসির উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের মতো পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না।

ডা. আব্দুল্লাহ জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে, সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।

বেপরোয়াভাবে চলাচল বা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না জানিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলা করতে মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।


বিজ্ঞাপন


করোনাভাইরাসের নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবেলা করার জন্য দ্রুত কোভিডের টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

abdullah2

দেশের প্রখ্যাত এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, নাকে নেওয়ার কোভিড ওষুধের ট্রায়াল শিগগির দেশে শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হবে। এই টিকা করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর হবে এবং এটি মানুষকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেবে।

ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, শিগগির পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিমত অনুযায়ী পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান তার বক্তব্যে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান।

এসএএস/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর