জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা করেছে রাজধানীর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। গত ২ ও ৩ আগস্ট হাসপাতালের শহীদ মীর কাসিম আলী অডিটরিয়ামে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনের প্রথম দিন ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলী মিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসিম আরমান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সাদিক কায়েম।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ২৪ এর জুলাই পূর্ববর্তী সময়ে ইবনে সিনা মেডিকেলে আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে স্বৈরাচারের সমর্থকদের সশস্ত্র বাধার মুখে পড়তে হয়। তবে সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই উত্তাল সময়ে পাঁচ শতাধিক আহত ভাই-বোনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এখানে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে অব্যাহত হামলার কারণে চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পুরুষ রোগীকে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রেজিস্ট্রি খাতায় রহিমের নাম রহিমা এবং গুলিবিদ্ধ রোগীকে জ্বরের রোগী হিসেবে দেখানো হতো। এই রকম কৌশল অবলম্বন করে আমরা জুলাই আহতের চিকিৎসা দিয়েছি।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম জিয়াউল হক বলেন, ইবনে সিনার মূল গেটে যখন গুন্ডালীগ লাঠিসোঁটা দিয়ে আহতদের ঢুকতে দিচ্ছিল না, তখন আমরা গার্লস হোস্টেলের গেট দিয়ে আহতের ঢুকিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেছি।
এসএইচ/এএস

