সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচনে দুই প্যানেল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচিতও হয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সাধারণ সম্পাদক প্যানেল থেকে বিজয়ীরা ফলাফল বাতিলের জন্য চেষ্টা করছেন।
এরই অংশ হিসেবে এই প্যানেল থেকে আপিল করা দায়ের করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর বোর্ড আপিল গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বিপিএমসিএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহিউদ্দিন-মুকিত এবং আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং মোট ১১০ জন ভোটারের মধ্যে ৯২ জন ভোটার ভোট দেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি পরিষদের দুইজন করে প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে মহিউদ্দিন-মুকিত প্যানেল থেকে ডা. শেখ মহিউদ্দিন সভাপতি এবং ডা. আব্দুস সবুর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে আফরোজা-মোয়াজ্জেম পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডা. মোয়াজ্জেমসহ মোট ১৯ নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেলের পক্ষ থেকে নিয়ম বর্হিঃভূতভাবে আপিল দায়ের করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা দিনভর ভোট প্রদানের পর দুই পরিষদের মনোনীত এজেন্টরা খসড়া ফলাফলে স্বাক্ষরও করেন।
অভিযোগ উঠেছে, আপিল বোর্ড এখতিয়ার বর্হিঃভূতভাবে তা গ্রহণ করেন। কারণ আপিল গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আপিল আবেদন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেল সর্বাধিক পদে বিজয়ী হয়। অন্যদিকে মহিউদ্দিন-মুকিত প্যানেল থেকে সভাপতি এবং সাংগঠনিক সম্পাদকসহ মাত্র দুজন জয়লাভ করেন।
এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরও ফলাফল বাতিল করার চেষ্টাকে ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হিসেবে দেখছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য প্রার্থীরা।
তারা আশা করছেন, ভোটারদের মতামতের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র রুখতে এই আপিল আবেদন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাতিল করা হবে।
বিইউ/এএস

