জুলাই গণঅভ্যুত্থান মাস ২০২৫ পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ স্মরণে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) তিন দিনব্যাপী ফটো এক্সিবিশন শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিএমইউর শহীদ ডা. মিলন হলের সম্মুখ করিডোরে ফটো এক্সিবিশন উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
ফটো এক্সিবিশনে ১৬ই জুলাই শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড, ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার বিজয়সহ জুলাই বিপ্লবের নানা ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ স্থিরচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে শহীদ ডা. মিলন হলে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি স্ক্রিনিং এবং রক্তদাতা নিবন্ধীকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এছাড়া জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয় এবং বাদ জোহর জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিএমইউর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব বৈষম্যহীন ন্যায়ভিত্তিক অধিকারপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় চিরকাল অনুপ্রেরণা যোগাবে। জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।’
বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন দেশে পরাধীন ছিল। ক্ষমতার জন্য নিজ দেশের নিজ সন্তানকে হত্যা করা যায় এটা ভাবা যায়না। আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ এ কথা স্মরণে রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হবে। তা না হলে ফ্যাসিবাদরা পুনরায় সুযোগ নেবে।’
বিজ্ঞাপন
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীকে মনের চোখ দিয়ে দেখতে হবে। চিন্তা চেতনায় জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। প্রত্যাহিক কর্মে এর প্রতিফলন থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে কাজ করতে হবে।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, ‘আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধসহ আমরা যেনো জুলাই শহীদের ভুলে না যাই। তাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে। জুলাই চেতনাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও আদর্শে বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত, ডা. এমদাদুল হক ইকবাল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমইউর পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, সহকারী প্রক্টর ডা. রিফাত রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নাছির উদ্দিন ভূ্ঞাঁ, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ বদরুল হুদা, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. লুঃফর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার সাবিনা ইয়াসমিন, উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার ইয়াহিয়া, সেকশন অফিসার (জনসংযোগ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচ/ইএ

