দিনদিন হোমিও চিকিৎসার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে এমন দাবি করে এই খাতের চিকিৎসকরা বলছেন, অল্প ওষুধে রোগীকে সুস্থ করাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মূলমন্ত্র। যে কারণে সব বয়সী মানুষ হোমিও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে হোমিওপ্যাথি’র জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ২৭০তম জন্মবার্ষিকী ও ‘হোমিওপ্যাথিক দিবস-২০২৫’ এর সাইন্টিফিক সেমিনারের বক্তারা এই দাবি করেছেন। সেমিনারটির আয়োজন করে ‘ইনো হোমিও ক্যান্সার সেন্টার’।
বিজ্ঞাপন
হোমিও চিকিৎসক ডা. এম এ কাদেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন ইনো হোমিও ক্যান্সার সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. রাশিদুল হক। এছাড়া চিকিৎসার নানা বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, ডা. নাজমুল হাসান জামসন ও ডা. শাহীন মাহমুদ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম সোহেল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম কবীর।
ডা. রাশিদুল হক বলেন, বিকল্প পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। ১৭৯৬ সালে এর উদ্ভাবন করেন ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। রোগীকে অল্প ঔষধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের খুব সহজেই কাছে পাচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ স্বল্পমূল্যে থাকার কারণে মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করছেন। আমাদের দেশি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিচ্ছেন। সকল বয়সের মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করেছেন। হোমিওপ্যাথি একটা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা। সকল বয়সের ও সকল রোগের জন্যই এটা উপযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থা।
বিজ্ঞাপন
বিইউ/এএস