সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

এক বছরে ৬ সহস্রাধিক শিশুকে কিডনি রোগের সেবা দিয়েছে বিএসএমএমইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

র‌্যালি, সেমিনার, লিফলেট, স্যুভেনির  বিতরণসহ জনসচেতনতামূলক নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিএসএমএমইউ-তে বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপিত হয়েছে। এসময় বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের উদ্যোগে গত এক বছরে ৬ সহস্রাধিক শিশু কিডনি রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিএসএমএমইউর ক্যাম্পাসে শিশু কিডনি বিভাগের উদ্যোগে এসব আয়োজন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


প্রধান অতিথি হিসেবে র‌্যালির শুভ উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এসময় তিনি বলেন, শিশুদের যদি কিডনি রোগ থাকে, তা দ্রুত শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। শিশুদের ডায়ালাইসিস ইউনিটে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।

অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, কিডনি রোগ প্রতিরোধে শুধু রোগী নয়, চিকিৎসক এমন কি শিক্ষকদেরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকরা যাতে আন রেজিস্ট্রার্ড প্রোডাক্ট প্রেসক্রিপশনে না লিখেন সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ লেখার বিষয়েও অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একই সাথে কিডনি রোগে চিকিৎসায় এভিডেন্স বেইসড মেডিসিনকে গুরুত্ব দিতে হবে, গাইডলাইন ফলো করে চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হবে।

বিএসএমএমইউর শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান পেডিয়াট্রিক ও নেফ্রোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম জানান, বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের উদ্যোগে গত এক বছরের ৬ সহস্রাধিক শিশু কিডনি রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৪ শত ৯৩ জন, ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে ৬৮৫ জন শিশু এবং ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া হয়েছে ৩৮ জন শিশুকে।

বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, কিডনি রোগ চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি গবেষণাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। চিকিৎসাসেবায় স্টেম সেল থেরাপি কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। একই সাথে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ও ডিসিপ্লিনারি টু ডিসিপ্লিনারি ইন্টারেকশন কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে। 


বিজ্ঞাপন


কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ তার বক্তব্যে কিডনি রোগ প্রতিরোধ, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, সিএপিডি চিকিৎসার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, কিছু ব্যথানাশক ওষুধ রয়েছে, যা রোগীদের কোনোভাবেই সেবন করা উচিত না। কারণ অনেক মানুষের জীবন এ ধরনের ওষুধ সেবন করে কিডনি বিকল হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর