দেশে তামাক ব্যবহারের হার কমিয়ে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যের কর বৃদ্ধি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত 'তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস ও তামাক কর বৃদ্ধির দাবিতে ছাত্র-তরুণ সমাবেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তারা এই দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তারা তামাকজনিত মৃত্যু কমানো এবং তামাক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য আইন সংশোধন এবং তামাকপণ্যে উচ্চহারে কর বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
বর্তমানে দেশের ৪৮ শতাংশ জনগণ তরুণ, এর মধ্যে ৯ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ তামাক ব্যবহার করছে। তামাক কোম্পানির অপপ্রচারের শিকার হয়ে কিশোর-তরুণেরা তামাক সেবনে আগ্রহী হয়ে পড়ছে। তামাক কোম্পানীগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৌশলে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, যা শিশু-কিশোরদের টার্গেট করে তাদের তামাক সেবনে আকৃষ্ট করছে।
এছাড়া, বেশ কিছু বছর ধরে দেশে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির হার তেমনি না বাড়ার কারণে তরুণরা সিগারেট সেবন থেকে বিরত থাকছে না। প্রতিবছর তামাকজাত দ্রব্যের সস্তা মূল্য বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র ও তরুণরা সিগারেটের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। মূল্য বৃদ্ধি না হলে সস্তা সিগারেটের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে পারে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
তবে, তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সিগারেট সেবনে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার দাবি জানান তরুণরা। তারা বলেন, ১৫ বছরের উপরে ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু ধূমপায়ী। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা জরুরি, যাতে তরুণদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা যায়।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, দেশের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং তরুণ সমাজকে তামাকের ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস ও তামাকপণ্যে কার্যকরভাবে কর বৃদ্ধির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এমআইকে/এইউ

