শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

প্রাক-বাজেট আলোচনায় জনগণের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ কমানোর আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২২, ০১:০০ এএম

শেয়ার করুন:

প্রাক-বাজেট আলোচনায় জনগণের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ কমানোর আহ্বান

দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ বহন করে জনসাধারণ, আর সরকার বহন করছে মাত্রা ২৩ শতাংশ। এ অবস্থায় জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।

আজ সোমবার (৬ জুন) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ক জাতীয় সংলাপ’ শিরোনামে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা।


বিজ্ঞাপন


আলোচকরা বলেন, জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ বহন করছেন জনসাধারণ, আর সরকার বহন করছে মাত্রা ২৩ শতাংশ। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে এমনভাবে বরাদ্দ দেওয়া দরকার যাতে করে মানুষের ওপর স্বাস্থ্যব্যয়ের এই চাপ হ্রাস পায়।

সরকারের অর্থবিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য এবং মাঠ-জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি মূল নিবন্ধ উপস্থাপন কালে বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর বলেন, ‘সরকারের স্বাস্থ্য বাজেটে বর্তমানে ওষুধ ও পচনশীল চিকিৎসা সামগ্রী বাবদ যে বরাদ্দ আছে তা যদি তিন গুন করা যায় এবং উপজেলা পর্যায় থেকে কম্যুনিটি পর্যায় পর্যন্ত তিন ধরনের সরকারি সেবাকেন্দ্রে সকল শূন্যপদে দক্ষ জনবল নিয়োগ করা যায়, তাহলে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে জনসাধারণের অংশ ৬৮ শতাংশ থেকে কমে ৫১ শতাংশ হতে পারে।’

তবে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি পুরো স্বাস্থ্যখাতেই সংস্কারে মনযোগ দিতে হবে বলে জানান তিনি।

আলোনায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত স্বাস্থ্য খাতের জন্য মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করা এবং পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনাতে  স্বাস্থ্যখাতের চাহিদাগুলো প্রতিফলিত করার ওপর জোর দেন।


বিজ্ঞাপন


পুরো জনগোষ্ঠির জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্বকেবল সরকারি সেবাকেন্দ্রের ওপর না চাপিয়ে সরকার ও ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এছাড়া স্বাস্থ্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া ও ব্যক্তিখাতে স্বাস্থসেবাদানকারীদের মান-নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য বাজেটের জেন্ডার-সংবেদনশীলতা, যৌন ও  প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খাতে যথাযথ মনযোগ দেওয়া আহ্বান জানান আলোচকরা।

বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের থিমেটিক  গ্রুপের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুমানা হকের সঞ্চালনায় অলোচনায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ  আব্দুল হামিদ।

এমএইচ/এমএএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর