বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বপ্নের ‘গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র’ সম্প্রসারণে তহবিল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালটির কিছু অংশে সেবা চলমান আছে উল্লেখ করে এটি বাস্তবায়ন হলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলার গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার মিলনায়তনে তহবিল সংগ্রহ শুরু উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘গণমানুষের ক্যানসার হাসপাতাল’ শীর্ষক এই ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ হলে ডা. জাফরুল্লাহ অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ হবে।
বিজ্ঞাপন
মার্চ ফর মাদার মোর্চার প্রধান সমন্বয়কারী ক্যানসার রোগতত্ত্ববিদ ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় শনিবার বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে এই দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এই দিবস ও মাস উদযাপনে বিস্তৃত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এই চিকিৎসক বলেন, গণমানুষের স্বাস্থ্যসেবায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবদান অতুলনীয়। তার অসমাপ্ত স্বপ্ন ‘গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র’। ইতোমধ্যে ধানমন্ডি ৬ নম্বর সড়কে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভবনের ৬ষ্ঠ ও ৭ম তলায় দেশের প্রথম ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগে স্তন, জরায়ুমুখ ও মুখগহ্বরের ক্যানসার স্ক্রিনিং, কেমোথেরাপি, ক্যানসার সার্জারি ও ব্রাকিথেরাপি সেবা চলমান আছে। স্বাস্থ্য বীমার সহায়তায় ও গণস্বাস্থ্যের মৌলিক নীতি ও উদ্দেশ্য সমুন্নত রেখে স্বল্প খরচে মানসম্মত সেবা দেওয়ার প্রয়াস অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন
ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, শিগগিরই মিরপুর ১২ নম্বর ও সাভারে ২য় ও ৩য় ইউনিট চালু এবং সারাদেশে প্রায় ৩০টি গণস্বাস্থ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে টেলিমেডিসিনভিত্তিক স্যাটেলাইট ক্যানসার সেবা চালুসহ সমন্বিত সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতাল ও গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে আপনার অংশগ্রহণ আশা করছি।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার, ইপিআই কর্মসূচির সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. তাজুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও আরবান হেলথ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম মজুমদার, কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন মোছাররত সৌরভ প্রমুখ।
এমএইচ/এমএইচটি