এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮৫ জনে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৪ জন। ফলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যা ৯০ হাজার ৭৯৪ জন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৫, খুলনা বিভাগে ২৫ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ জন এবং রংপুর বিভাগে একজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯০ হাজার ৭৯৪ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এছাড়াও এখন পর্যন্ত মৃত ৪৮৫ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
বিজ্ঞাপন
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
এমএইচ/এমএইচটি