দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ও রোগীর সংখ্যা বাড়াতে থাকায় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৬টি বিশেষায়িত বেড চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ডা. এস এম খালিদ মাহমুদ শাকিল। প্রয়োজনে বিশেষায়িত এ বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিজি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধতে তিনি বলেন, রোগী কিছুটা বাড়ছে, হঠাৎ করেই অনেক রোগী বাড়তে পারে। সেই বিষয়টির কথা চিন্তা করে আমরা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বিশেষায়িত বেড চালু করেছি। ১৬টি বেড দিয়ে আমরা শুরু করলাম। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ড্যাসবোর্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব তথ্য এই ড্যাসবোর্ডে থাকবে। প্রতি শনিবার ১২টার পর মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে ডেঙ্গুর ওপর ব্রিফ থাকবে।
এ সময় হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মির্জা মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু নিয়েই আমাদের বসবাস করতে হবে। তবে আমাদের টার্গেট হবে ডেঙ্গু মিনিমাইজ করা। ডেঙ্গু ট্রিটমেন্টে প্লাটিলেট গুরুত্বপূর্ণ নয়। ডেঙ্গু হলে বা কোনো জ্বর হলে টেস্ট করতে হবে।
ডেঙ্গুর প্রকৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ যা ডায়নামিক। অর্থাৎ সময়ে সময়ে লক্ষণ পাল্টায়। যেকোনো সময়ে যেকোনো প্রকৃতি ধারণ করে। বেশিরভাগ ডেঙ্গু রোগীই ভর্তি করতে হয় না। কাউন্সেলিং করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। ৫ থেকে ১০ শতাংশ হচ্ছে সিভিয়ার ডেঙ্গু রোগী।
তিনি আরও বলেন, জটিল অবস্থা হলে রোগীকে আমরা আইসিইউতে পাঠাই। পর্যাপ্ত স্যালাইন লাগতে পারে, অনেক সময় তাদের রোগীদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা থাকে না, সেক্ষেত্রে আমরা একদিনের বেতন ডোনেট করে সেই ফান্ড থেকে টাকা দেই।
এ সময় যত্রতত্র ওয়ার্ডে গিয়ে ছবি না তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আসতে বলেন ডা. জিয়াউল ইসলাম।
এমএইচ/এএস