বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত ডা. সজীব সরকারসহ নিহত ও আহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বিএসএমএমইউতে সংঘর্ষের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের মদদে বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক কর্মচারীরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিএসএমএমইউর কেন্দ্রীয় মসজিদে এই আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর। দোয়া মাহফিলে ডা. সজীবের বাবা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়কও উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় নিহত ডা. সজীব সরকারের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানান চিকিৎসকরা। এছাড়া সরকারের হয়ে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে কাজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
ডা. সজীবের বাবা হালিম সরকার বলেন, রাষ্ট্র আমার নিরপরাধ চিকিৎসক ছেলের লাশ উপহার দিয়েছে। পুরো পরিবারসহ অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা ও দুই ভাই-বোনের পড়াশোনার খরচ সেই চালাতো। পুরো পরিবারকে সে আগলে রেখেছিল। আমার ছেলেকে নির্মমভাবে এই হত্যার ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুবায়ের ও মাসুদ আহত ছাত্র-জনতাকে মানবিকভাবে চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া বিএসএমএমইউ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন তারা।
তারা বলেন, স্বৈরাচার সরকারের উপাচার্যের নিজ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় চিকিৎসকদের সঙ্গে তার পদত্যাগের জন্য ছাত্র-জনতা আবার মাঠে নামবে।
বিজ্ঞাপন
গত ১৮ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে মাদরাসাপড়ুয়া ছোট ভাইকে আনতে যান সজীব। সেখানে পৌঁছার পর অন্য যাত্রীর সঙ্গে তাকেও বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। অদূরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সেখান থেকে তার ছোট ভাই আবদুল্লাহ সরকারের মাদরাসার দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। হেঁটে হেঁটে মাদরাসাটির উদ্দেশে রওনা হলে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সজীব।
এমএইচ/জেবি

