বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২, ০৮:০৯ এএম

শেয়ার করুন:

উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগের তাগিদ
ছবি : ঢাকা মেইল

বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক (মোট জনগোষ্ঠীর ২১ শতাংশ) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এতে বিভিন্ন অসংক্রামক ও বিশেষত হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে কাজের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর ফার্স হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেছেন। 


বিজ্ঞাপন


বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সম্মিলিত উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

তারা আরও বলেন, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ২০১৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এনসিডি কর্নার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ‘উচ্চ রক্তচাপ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং ফলোআপ’ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে এই এনসিডি কর্নারের সংখ্যা ২০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আলোচকরা বলেন, দেশে প্রতি পাঁচজনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক (মোট জনগোষ্ঠীর ২১ শতাংশ) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এতে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও বিশেষত হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায়  এনসিডিসি প্রোগ্রামের মাধ্যমে এটি নিয়ে গণসচেতনতা তৈরি, ওষুধ এবং চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে উচ্চ রক্তচাপের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও বিস্তার কমাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। 

তারা আরও বলেন, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ২০১৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এনসিডি কর্নার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ‘উচ্চ রক্তচাপ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং ফলোআপ’ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে এই এনসিডি কর্নারের সংখ্যা ২০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।


বিজ্ঞাপন


তবে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগ ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন যেমন; অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করা, ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, তামাক ও মদ্যপান পরিহার করা, অতিরিক্ত ওজন কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার বিষয়ে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ ক্রমবর্ধমান। এই সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল মালিক বলেন, ‘আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। শুধু হাসপাতাল বানিয়ে উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগের প্রকোপ থেকে জাতিকে রক্ষা করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী ও কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মীর ইশরাকুজ্জামান এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপকে মানবজীবনের জন্য নীরব ঘাতক বলা হয়। বেশিরভাগ সময় এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ এবং উপসর্গ থাকে না। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করা না হলে বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল এবং হার্ট বিট অনিয়মিত হওয়ার পাশাপাশি স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির ক্ষতি হয়। নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো যায়।

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর