মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শঙ্কা

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিশ্বের স্বাস্থ্যখাতে 'নতুন অশনি সংকেত' বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ অবস্থায় এ ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সব খাতকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে ‘ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে নতুন এক অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জে পশুপাখির মধ্যেও এটি বিস্তার লাভ করেছে। তাই বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতের এই হুমকি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সকল খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্র্যাকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার, সার্ভিক্যাল বা জরায়ুমুখ ক্যান্সার ও হাইপারটেনশনের মতো বিষয়গুলোতে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একজন ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগী যখন চিকিৎসকের আছে আসেন, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর বিশেষ কিছু করার থাকে না। অথচ, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে তা অনেকাংশেই নিরাময়যোগ্য। একইভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেক ঠোঁটকাটা, তালুকাটা রোগী ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তারা সঠিক চিকিৎসা পায় না।

দেশে স্বাস্থ্যখাতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজগুলো করলে মানুষ উপকৃত হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 


বিজ্ঞাপন


উদাহরণ হিসেবে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার (বিএলবিসি) পরিকল্পিত ও পরিচালিত কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন চিকিৎসাকেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে অনেক মানুষ কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুবিধা পাচ্ছেন। মানুষের কল্যাণে বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় এমন আরও অনেক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের কাজে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে আসছে, তাদের মধ্যে ব্র্যাক অন্যতম। তবে এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কোনো একটা কর্মসূচি বা প্রকল্প হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া অনুচিত। তাই প্রকল্প শুরু করার সময়ই একটি প্রস্থান পরিকল্পনা সঠিকভাবে ডিজাইন করা গুরুত্বপূর্ণ।

ব্র্যাক যেভাবে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে সেটা অব্যাহত থাকলে মানুষ উপকৃত হবে উল্লেখ করে চরের পাশাপাশি হাওরাঞ্চলে প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এমএইচ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর