মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্যালাইনের সংকট হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্যালাইনের সংকট হবে না’
ফাইল ছবি

চলতি বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। একইসঙ্গে কারো যেন ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেন, কারো যেন ডেঙ্গু না হয় সেটাই প্রার্থনা।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ঈদ পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। এবার রোগীদের জন্য স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না। তবে ডেঙ্গু না হোক, সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়, সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রস্তুত আছেন। তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। বাসাবাড়ির সব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। একবার অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। কারও যাতে ডেঙ্গু না হয়, সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন

এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা নিয়েছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজে ঢালাওভাবে বলতে চাই না যে আমি কী করেছি। আপনারা নিজেরাই বলবেন যে আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময়ে করেছি। মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম।

তিনি আরও বলেন, আমি এবার না বলেই হাসপাতালে গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলিনি। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসক ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।

এবার মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে ছুটিতে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবার ব্যবস্থার প্রয়োজন আমি নিজে অনুভব করেছি। আমি যখন বার্নে কাজ করতাম রাতে একটা মেয়ে না-খেয়ে কাজ করেছেন। সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকত। ইচ্ছা করে এবার খাবারের অর্ডার করেছি। যাতে ভালোভাবে তারা ঈদটা করতে পারে।

এমএইচ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর