নীরব ঘাতক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত দেশের প্রায় ৮৬ লাখ মানুষ। এই রোগে আক্রান্তদের ধীরে ধীরে শারীরিক নানা ধরণের জটিলতা দেখা দেয়। যত দীর্ঘ সময় ধরে রক্তে সুগারের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত থাকে জটিলতা তত বাড়তে থাকে। যা কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে হৃদরোগ, স্নায়ুরোগও বেড়ে যায়। তাই ডায়বেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে যাদের হৃদরোগেরও সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য দেশের বাজার নতুন ওষুধ এনেছে একমি ল্যাবরেটরিজ।
‘এমলিনো’ নামের এই ওষুধটি সম্প্রতি বাজারে এনেছে একমি। সারাদেশে এটি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড এক্সিকিউটভ রাফিউল বাশার রাব্বী।
বিজ্ঞাপন
তবে এই ওষুধটি ইনসুলিনের বিকল্প নয় বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
সম্প্রতি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ‘ডায়াবেটিস ব্রেক থ্রু’ নামে একটি সায়েন্টিফিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ‘এমলিনোর’ সৌজন্যে। এতে দেশের খ্যাতনামা ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
এতে বলা হয়, ডায়বেটিস আক্রান্তদের শরীরে যত দীর্ঘ সময় ধরে রক্তে সুগারের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত থাকে জটিলতা তত বাড়তে থাকে। যা কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। তার মধ্যে হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, কিডনিজনিত সমস্যা অন্যতম।
আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এর মতে, ডায়াবেটিসকে হৃদরোগের রোগের জন্য সাতটি প্রধান ঝুঁকির মধ্যে প্রধান বলে মনে করে।
এছাড়া প্রায় ৪০ ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে সেমিনারে তথ্য দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, এম্পাগ্লিফ্লোজিন এবং লিনাগ্লিপটিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি কিডনি রক্ষার কাজও করে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কিডনি জনিত সমস্যা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই হ্রাস পায়।
আর এম্পাগ্লিফ্লোজিন এবং লিনাগ্লিপটিন এর কম্বিনেশন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এর কার্যকারিতা বিশ্বব্যাপী ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে প্রমাণিত বলে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে জানানো হয়।
একমির বাজারজাত করা ওষুধ ‘এমলিনো’ বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এম্পাগ্লিফ্লোজিন এবং লিনাগ্লিপটিন সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা রাফিউল বাশার রাব্বী।
বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ.কে আজাদ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বারডেম একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান।
অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন— ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এন্ড রির্সাচ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এসএম আশরাফুজ্জামান, বারডেম হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ আমিন, ডা. সুলতানা রেহেনা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা, সহকারী অধ্যাপক ডা. রুশদা শারমিন বিনতে রউফ, চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. শাহানা পারভীন, রেজিস্ট্রার ডা. কাজী নাজমুল হোসেন এবং একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
বিইউ/এএস
